সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের (আইসিটি) একটি প্রজেক্টে চুক্তিভিত্তিক চাকরিতে যোগদান করায় ‘৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদের’ যুগ্ম-আহ্বায়ক মুক্তা সুলতানাকে প্রাথমিকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শনিবার (৩ জুন) সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য সচিব মোহাম্মদ রাসেল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মোহাম্মদ রাসেল বলেন, “মুক্তা সুলতানা চাকরিতে যোগদানের মধ্য দিয়ে ৩৫ প্রত্যাশীদের যে আন্দোলন সেটি বিতর্কের মুখে ফেলার চেষ্টা করেছেন। তাছাড়া আমাদের সঙ্গে কোনো পরামর্শ ছাড়াই তিনি এ কাজটি করেছেন। শিক্ষার্থী সমাজের স্বার্থ পরিপন্থী কাজ করায় এবং সংগঠনের সদস্যদের/সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিব্রত করায় মুক্তা সুলতানাকে প্রাথমিকভাবে সংগঠনের যুগ্ম-আহ্বায়ক পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো। শীগ্রই এ বিষয়ে তার বহিষ্কারাদেশ চূড়ান্তভাবে প্রকাশ করা হবে।”
মুক্তা সুলতানা চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশীদের আন্দোলন করতে পারবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে রাসেল বলেন, “সে সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে অংশ গ্রহণ করতেই পারে, তবে সে নেতা হিসেবে পারবে না।”
এদিকে সদ্য বহিষ্কৃত মুক্তা সুলতানার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, “চাকরি নেওয়াতে আমি নাকি সরকারের কাছে বিক্রি হয়ে গেছি। তাই আমাকে তারা বহিষ্কার করেছে। এছাড়া আমার বিরুদ্ধে সংগঠনের অসাংবিধানিক কাজ করার অভিযোগ ও মানসিকভাবে অসুস্থ সেটিও বলা হয়েছে।”
বহিষ্কৃত হবার পরও আন্দোলনে অংশ নেবেন কি না জানতে চাইলে মুক্তা বলেন, “আমাকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। যদি আমি আন্দোলনে যাই তাহলে আমাকে গণপিটুনি দেওয়া হবে। একটা ইন্টারনাল মিটিং হয়েছে, সেখানে তারা এটি উত্থাপন করেন। এখন যদি আমি আন্দোলনে যাই, তাহলে আমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে কে?”