৪৩তম বিসিএসের বিষয়ভিত্তিক লিখিত পরীক্ষা শুরু হচ্ছে রোববার (২৪ জুলাই) থেকে। চলবে ৩১ জুলাই পর্যন্ত। বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) মোট ১৫ হাজার ২২৯ জন প্রার্থীকে এই লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য সাময়িকভাবে যোগ্য ঘোষণা করেছে।
যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রে একযোগে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা ইশরাত শারমীন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
পিএসসির বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, এবার লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন ১৫ হাজার ২২৯ জন প্রার্থী। পরীক্ষার হলে বই, ব্যাগ, মানিব্যাগ, হাতঘড়ি, মুঠোফোন, ক্যালকুলেটর বা ইলেকট্রনিক যোগাযোগযন্ত্র ইত্যাদি সামগ্রী আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। পরীক্ষার হলে প্রার্থীরা গয়না-অলংকার জাতীয় কিছু ব্যবহার এবং ক্রেডিট কার্ড/ ব্যাংক কার্ড বা এ ধরনের কোনো কিছু বহন করতে পারবেন না। চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি ৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারির ফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ১৫ হাজার ২২৯ প্রার্থী।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, পরীক্ষা হলে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়িয়ে চলার লক্ষ্যে হাজিরা তালিকায় প্রার্থীর রেজিস্ট্রেশন নম্বর জোড় ও বিজোড় বিন্যস্ত করে এবং প্রতিটি রেজিস্ট্রেশন নম্বর কক্ষওয়ারী দৈবচয়ন (Random)ভিত্তিতে সাজিয়ে হাজিরা তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। দৈবচয়ন (Random) প্রক্রিয়ায় নিজ আসন এবং কক্ষ চিহ্নিত করা কিছুটা সময় সাপেক্ষ। এ পরিপ্রেক্ষিতে, নিজ আসন এবং কক্ষ চিহ্নিত করার জন্য প্রার্থীদেরকে পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে নিজ নিজ পরীক্ষা হলে উপস্থিত হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।
এ বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৮১৪ জন কর্মকর্তা নেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ৩০০, পুলিশ ক্যাডারে ১০০, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ২৫, শিক্ষা ক্যাডারে ৮৪৩, অডিটে ৩৫, তথ্যে ২২, ট্যাক্সে ১৯, কাস্টমসে ১৪ ও সমবায়ে ১৯ জন নিয়োগ দেওয়া হবে।