• ঢাকা
  • রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

এমপিওভুক্তির আবেদন ১০ অক্টোবর শুরু


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২১, ০৫:০০ পিএম
এমপিওভুক্তির আবেদন ১০ অক্টোবর শুরু

নতুন করে দেশের বেসরকারি স্কুল-কলেজ এমপিওভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ জন্য আগামী ১০ অক্টোবর থেকে অনলাইনে আবেদন কার্যক্রম শুরু হবে। যা চলবে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত।

বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়।

নির্দেশনায় বলা হয়, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি) এমপিওভুক্তি করতে ১০ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করা হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের ওয়েবসাইট (www.dshe.gov.bd) এবং বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) ওয়েবসাইটে (www.banbeis.gov.bd) গিয়ে আবেদন করা যাবে।

এমপিওভুক্তির আবেদন সরাসরি ই-মেইলে বা ডাকযোগে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ অথবা এর অধীনস্থ কোনো দপ্তরে গ্রহণ করা হবে না।

২০১৮ সালে এমপিওভুক্তির জন্য ৯ হাজার ৪৯৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনলাইনে আবেদন করেছিল। দীর্ঘ যাচাই-বাছাই শেষে ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর দুই হাজার ৭৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। পরে চূড়ান্তভাবে এমপিওভুক্ত করা হয় দুই হাজার ৬১৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

২০১৯ সালের শেষদিকে এসে বিশেষ ক্ষমতাবলে সরকার আরও সাতটি প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করেছিল। তবে এবার এমপিওভুক্তির বেশকিছু শর্তে পরিবর্তন আনা হয়েছে। 

এ ছাড়া দুই বছর আগেই যেহেতু মাত্র দুই হাজার ৬১৫টি প্রতিষ্ঠান যোগ্য হয়েছে। ফলে আগামী অর্থবছরও সব ধরনের প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে সর্বোচ্চ হাজারখানেক প্রতিষ্ঠানের শর্ত পূরণের সুযোগ রয়েছে।

২০২১ সালের নীতিমালা অনুযায়ী, নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি পেতে নিম্ন মাধ্যমিকে শহরে ১২০ ও মফস্বলে ৯০, মাধ্যমিকে শহরে ২০০ ও মফস্বলে ১৫০, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শহরে ৪২০ ও মফস্বলে ৩২০, উচ্চ মাধ্যমিক কলেজে শহরে ২৫০ ও মফস্বলে ২২০ এবং ডিগ্রি কলেজে স্নাতকে শহরে ৪৯০ ও মফস্বলে ৪২৫ জন শিক্ষার্থী থাকতে হবে।

পাসের হার স্তরভেদে সর্বনিম্ন ৪৫ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ করা হয়েছে। এ ছাড়া নতুন এমপিও পেতে মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে শিক্ষার্থী সংখ্যায় ৩০, পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩০ ও পাসের হারে ৪০ নম্বর রাখা হয়েছে।

Link copied!