আজ ২৬ শে মার্চ, ‘কিন স্কুল’-এর ১৮ তম জন্মজয়ন্তী। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে কাজ করে যাচ্ছে এই স্কুলটি। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘কিন’ মূলত পাঁচটি উইংস নিয়ে কাজ করে। এরমধ্যে ‘কিন স্কুল’ অন্যতম। আজ ১৮ পেরিয়ে ১৯ বছরে পদার্পন করেছে ‘কিন স্কুল’।
কিনের সভাপতি ইফরাতুল হাসান রাহিম বলেন, ১৮ তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে কিন আয়োজন করেছে “18 Years Celebration of KIN School”, যার অংশ হিসেবে আগামী ১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে স্কুলের বাচ্চাদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানটি বিকাল ৩টায় শাবিপ্রবির মিনি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে কিন স্কুলের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয়। সেই সঙ্গে স্বাধীনতা দিবস এবং একই সঙ্গে কিন স্কুলের ১৮ তম জন্মজয়ন্তী হিসেবে দিনটির ইতিহাস শিক্ষার্থীদের মাঝে তুলে ধরা হয়।
জানা যায়, কিন স্কুলের পথচলা শুরু হয়েছিল মূলত সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিনামূল্যে শিক্ষাদান কর্মসূচির মাধ্যমে। ধীরে ধীরে এর কার্যক্রম বিস্তৃত হয়। শিক্ষাদানের পাশাপাশি শিশুদের নাচ, গান, কবিতা, অভিনয়, চিত্রাঙ্কন প্রভৃতি সহশিক্ষা কার্যক্রমের প্রতিও নজর দেওয়া হয়। শিশুদের মাঝে তাদের প্রয়োজন অনুসারে, বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়। তাদের স্বাস্থ্যের প্রতিও বিশেষ নজর দেওয়া হয় এবং বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা করা হয়। সর্বোপরি, কিন স্কুলে একজন শিশুর সার্বিক সমস্যার প্রতি নজর দেওয়া হয় এবং সমস্যাগুলো সমাধানে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়।
স্কুল কর্তৃপক্ষ জানায়, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়ানো, শিক্ষার প্রতি, সহশিক্ষা কার্যক্রমগুলোর প্রতি তাদের আগ্রহ তৈরি করা, তাদের জীবনে একটু আনন্দ আনা, তাদেরকেও স্বপ্ন দেখতে সহযোগিতা করা, তাদেরকে সঠিক পথে পরিচালনার আশা নিয়েই শুরু হয় ‘কিন স্কুল’। ভবিষ্যতেও এই কার্যক্রমগুলোর ধারা আরো বিস্তৃত আকারে, ব্যাপক ও সুন্দরভাবে অব্যাহত থাকবে— এটাই স্কুলের মূল লক্ষ্য।
কিন-এর বাকি ৪টি উইংস হলো— স্বেচ্ছায় রক্তদান, চ্যারিটি প্রোগ্রাম, সামাজিক সচেতনতা এবং শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি। সবগুলো উইংস নিয়েই এর নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
“চেনা হোক প্রতি মুখ শিক্ষার আয়নায়”— এই মূলমন্ত্রকে অন্তরে ধারণ করে ২০০৪ সালের ২৬শে মার্চ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল স্বেচ্ছাসেবী তরুণ-তরুণীর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘কিন স্কুল’।