শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য প্রাথমিক সুপারিশ দেওয়ার সাত মাস পর চূড়ান্ত সুপারিশ পেলেন ৩৪ হাজারের বেশি প্রার্থী। বেসরকারি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে ৩৪ হাজার ৭৩ জন শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ করা হয়।
শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।
এনটিআরসিএ’র সচিব মো. ওবাইদুর রহমান বলেন, “চূড়ান্ত সুপারিশের তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। পরবর্তীতে এসএমএস দেওয়া হবে।”
২০২১ সালের ১৭ জুলাই পুলিশ ভেরিফিকেশন চলমান রেখেই বেসরকারি স্কুল-কলেজে শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক-২) ফৌজিয়া জাফরীন গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, “এখন থেকে পুলিশ ভেরিফিকেশনের পাশাপাশি প্রাথমিক সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের নিয়োগের সুপারিশ দেয়া হবে। এক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তিকে নিয়োগের পর তার বিরুদ্ধে পুলিশ ভেরিফিকেশনে আপত্তিকর কিছু এলে নিয়োগ বাতিল হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে এনটিআরসিএ-কে বলা হয়েছে।”
এর আগে গত বছরের ৩০ মার্চ তৃতীয় ধাপে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ৫৪ হাজার ৩০৪ জন শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৫৪ হাজার ৩০৪টি শূন্যপদের মধ্যে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে ৩১ হাজার ১০১টি পদ রয়েছে। এর মধ্যে এমপিওভুক্ত পদ ২৬ হাজার ৮৩৮টি। আর মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে শূন্যপদ ২০ হাজার ৯৯৬টি।
এর মধ্যে ১৯ হাজার ১৫৪টি এমপিওভুক্ত। আর ২ হাজার ২০৭টি এমপিও পদ রিট মামলায় অংশ নেয়াদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়।
৫১ হাজার ৭৬১টি পদে সুপারিশ করার কথা থাকলেও গত বছরের ১৫ জুলাই সুপারিশ করা হয়েছে ৩৮ হাজার ২৮৬ জন প্রার্থী নিয়োগে। তাদের মধ্যে এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে ৩৪ হাজার ৬১০ জন এবং ননএমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে তিন হাজার ৬৭৬ জন।
আর ৮ হাজার ৪৪৮টি পদে কোনো আবেদন না পাওয়ায় এবং ৬ হাজার ৭৭৭টি নারী কোটায় প্রার্থী না পাওয়ায় ১৫ হাজার ৩২৫টি পদে ফল দেয়নি এনটিআরসি।
এ বিষয়ে আজ (শুক্রবার) প্রকাশিত এনটিআরসিএ’র নির্দেশনায় বলা হয়, ‘পুলিশ/নিরাপত্তা ভেরিফিকেশন কার্যক্রম চলমান অবস্থায় ৩৪ হাজার ৭৩ জন প্রার্থীকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট প্রার্থী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এসএমএসযোগে তা অবহিত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে এনটিআরসিএ-র ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে স্ব স্ব ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে সুপারিশপত্র ডাউনলোড করে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে সুপারিশপত্রে উল্লিখিত তারিখের মধ্যে যোগদান করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
‘অবশিষ্ট প্রার্থীদের মধ্যে ৪ হাজার ১৯৮ জন ভি আর ফরম না পাঠানোয়, ৯ জন প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণ হওয়ায় এবং ৩ জন তৃতীয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ১০ নম্বর শর্ত ভঙ্গ করে মহিলা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শরীর চর্চা শিক্ষক পদে আবেদন করায় তাদের ব্যাপারে সুপারিশ করা হয়নি। সুপারিশ না করা মোট ৪২১০ জন প্রার্থীর নামের তালিকা এনটিআরসিএ’র ওয়েবসাইটে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি নামক সেবা বক্সে দেখা যাবে।’
যেসব প্রার্থী ভি আর ফরম পাঠাননি তাদেরকে ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ভি আর ফরম এনটিআরসিএ অফিসে সরাসরি অথবা রেজিস্টার্ড ডাকযোগে জমা দিতে বলা হয়েছে।
অন্যথায় তাদের প্রাথমিক নির্বাচন বাতিল বলে গণ্য করা হবে বলে জানানো হয় এতে।