করোনার কারণে ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯, ২০১৯-২০ সেশনের সব বিভাগের অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের প্রমোশন দেওয়াসহ তিন দফা দাবিতে গত ১৬ মার্চ রাজধানীর নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। পরে শিক্ষকদের আশ্বাসে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে আন্দোলন স্থগিত করা হয়। আল্টিমেটামের সেই সময় পেরিয়ে গেলেও সমাধান না পেয়ে ফের সড়কে নামে তারা।
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নেন। এতে দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ।
আন্দোলনকারীদের দাবি, এবার করোনা মহামারি বিবেচনা করে শেষবারের মতো প্রয়োজনে লিখিত নিয়ে মানবিক বিবেচনায় ভুক্তভোগী প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় বর্ষের সব বিভাগের শিক্ষার্থীদের পরবর্তী বর্ষে প্রমোশন দিয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের পড়ার টেবিলে বসার সুযোগ করে দিতে হবে। তা না হলে, এখানেই তাদের শিক্ষাজীবনের ইতি টানতে হবে।
আন্দোলনের সমন্বয়ক সরকারি বাংলা কলেজের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী সাগর নেওয়াজ বলেন, “এর আগে আশ্বাস দেওয়া হলেও কোনো সমাধান দেওয়া হয়নি। উল্টো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করতে গেলে বিভিন্ন অজুহাতে আমাদের সঙ্গে দেখাও করেননি তারা। তাই আমরা আবারও সড়ক অবরোধ করেছি, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো। দাবি আদায়ে প্রয়োজনে আমরা আমরণ অনশন করবো।”
আন্দোলনকারীদের একজন কবি নজরুল সরকারি কলেজের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সুমন মিয়া বলেন, “আমাদের ইনকোর্স পরীক্ষা নেওয়া হয়। কিন্তু মূল নম্বরের সঙ্গে এটা যোগ করা হয় না। দর্শন বিভাগের যেসব শিক্ষার্থী আছে তাদের প্রশ্নের মানবণ্টন পরিবর্তন করতে হবে। সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের যেভাবে গণহারে ফেল করিয়ে দেওয়া হচ্ছে সেটার সুষ্ঠু ও স্থায়ী পদক্ষেপ নিয়ে দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। তা না হলে আমরা রাজপথ ছাড়বো না।”