ঢাকার অদূরে অবস্থিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি নামে পরিচিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি)। সবুজে ঘেরা বনাঞ্চলের ফাঁকে ফাঁকে লাল ইটের তৈরি ইমারত বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্যে নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে। সম্প্রতি যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলায় নষ্ট হচ্ছে ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য। কিছু প্রভোস্ট পরিষ্কার-পরিচ্ছনতাকর্মীদের ময়লা না দিয়ে হলের কর্মচারীদের দিয়ে বাহিরে ফেলছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা সংলগ্ন ছোট জলাশয়গুলো পরিনত হচ্ছে আবর্জনার স্তূপে। পরিবহন চত্বরের পেছনের লেকে ফেলা হচ্ছে আর্বজনা। এছাড়াও আল বেরুনী হল সংলগ্ন জলাশয়, মীর মোশাররফ হোসেন হল সংলগ্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে আর্বজনার স্তূপ। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের সেলিম আল দ্বীন মুক্তমঞ্চ সংলগ্ন এলাকায় ফেলা হয়েছে আবর্জনা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে ময়লা আবর্জনা রাখার জন্য কয়েকটি ডাস্টবিন থাকলেও, তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপর্যাপ্ত। ফলে ক্যাম্পাসের ভিতরে যেখানে-সেখানে ময়লা ফেলছেন শিক্ষার্থী ও দোকানীরা। তাছাড়া এসব ময়লা পরিষ্কারের জন্য নেই তেমন পরিচ্ছন্নকর্মী। প্রতিনিয়ত অপরিষ্কার থাকায় এসব আবর্জনা থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ দূষিত হচ্ছে এবং যত্রতত্র আবর্জনার স্তূপ তৈরি হয়েছে।
এ বিষয়ে একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে ডাস্টবিনের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় কম। ফলে যেখানে-সেখানে গড়ে উঠছে ময়লার স্তূপ। ক্যাম্পাসের দোকানীরা এর জন্য বেশি দায়ি। এছাড়া এসব ময়লার জন্য আমাদেরও দায় রয়েছে।”
ডেপুটি রেজিস্ট্রার (এস্টেট) মো. আজীম উদ্দিন বলেন, “কিছু হলের প্রভোস্ট পরিচ্ছনতাকর্মীদের ময়লা না দিয়ে হলের কর্মচারীদের দিয়ে বাহিরে ফেলেন। এখানে কর্তৃপক্ষের কিছু করার থাকে না। তাছাড়াও বটতলার দোকানীরা পরিচ্ছনতাকর্মীদের বর্জ্য না দিয়ে পাশের ছোট জলাশয়ে স্তূপ আকারে রাখছেন। আমরা তাদের কাছে বহুবার লোক পাঠিয়েছি। তারপরও তারা বার বার একই কাজ করে। তারপরও আমরা বিষয়টি দেখব।”
এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজকে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি।