শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ইমেরিটাস অধ্যাপক হতে ইচ্ছে নেই বলে জানিয়েছেন ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও ড. ইয়াসমিন হক দম্পতি।
শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে এ বিষয়টি জানান আন্দোলনরত শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আবেদিন।
শাহরিয়ার আবেদিন বলেন, “বেশকিছু সংখ্যক আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী শাবিপ্রবিতে অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের অবদানের কথা ভেবে তাকে ইমেরিটাস অধ্যাপক হিসেবে পাওয়ার জন্য চেয়েছিল। তবে এ বিষয়ে স্যারের কাছ থেকে আগে থেকে মতামত না নেওয়ায় শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) শিক্ষামন্ত্রীকে এ বিষয়ে কোন দাবি জানানো হয়নি। পরবর্তীতে এ বিষয়ে স্যারকে জানানো হলে তিনিসহ অধ্যাপক ইয়াসমিন হক ম্যাম সবার প্রতি সম্মান রেখেই ইমেরিটাস অধ্যাপক হতে ইচ্ছুক নন বলে জানান।”
এদিকে শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে সিলেটে আসেন শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি। সিলেট সার্কিট হাউসে বিকেল তিনটায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি।
এ সময় শিক্ষামন্ত্রী তাদের দাবিগুলো মেনে নেওয়া হবে বলে জানান এবং ভিসি পদত্যাগের বিষয়টি মহামান্য আচার্যকে অবহিত করবেন বলেও জানান তিনি। পরে ক্যাম্পাসে এসে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য প্রদান করেন এবং রাত সাড়ে সাতটায় ভিসির সঙ্গে বৈঠক করে ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন মন্ত্রী।
পরে রাত নয়টায় শিক্ষার্থীরা এক সংবাদ সন্মেলনের মাধ্যমে সরকারের কাছে পাঁচটি দাবি ও আটটি প্রস্তাবনা পেশ করেন।
এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি শাবিপ্রবির বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্টের বিরুদ্ধে অসদাচরণসহ বিভিন্ন অভিযোগে তার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন কয়েকশ ছাত্রী।
১৬ জানুয়ারি দাবি আদায়ের লক্ষ্যে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করা অবস্থায় পুলিশ সদস্যরা শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করে। এ সময় শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে শটগানের গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়া হয়। পরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এক দফা দাবিতে রূপ নেয়।
দাবি পূরণ না হওয়ায় ১৯ জানুয়ারি বিকেল ৩টা থেকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আমরণ অনশনে বসেন ২৪ শিক্ষার্থী।
২৬ জানুয়ারি সকালে অনশনস্থলে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রী ইয়াসমিন হক। তারাই শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙান।