নরসিংদীর পলাশে স্বামীকে মারধর করে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে উঠেছে। পরে ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে এ ঘটনায় দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
এর আগে শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে পলাশের ঘোড়াশাল এলাকার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াস।
আটকরা হলেন- পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকার টেঙ্গরপাড়া গ্রামের মৃত শাহ আলমের ছেলে রাজিব (৩০) ও চামড়াব গ্রামের মো. নজরুল ইসলামের ছেলে রিফাত (২০)।
পুলিশ জানায়, শনিবার বিকেলে পলাশের জনতা জুটমিলের এক কর্মচারী তার স্ত্রীকে নিয়ে ঘোড়াশাল ফ্ল্যাগ রেলস্টেশনে ঘুরতে যান। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ওই রেলস্টেশনের ভ্রাম্যমাণ দোকান থেকে তারা ঝালমুড়ি কিনেন। সেই ঝালমুড়ি খাওয়ার সময় টেঙ্গরপাড়ার রাজিব ও রিফাতসহ অজ্ঞাত আরও এক যুবক স্বামী-স্ত্রী যাচাইয়ের লক্ষ্যে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ডেকে নেন। এক পর্যায়ে স্বামীকে মারধর করে তার স্ত্রীকে ঘোড়াশাল ফ্ল্যাগ রেলস্টেশন থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে টান স্টেশনের কাছাকাছি নির্জন স্থানে নিয়ে যান। সেখানে ওই নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন তারা।
এদিকে স্বামী কোনো উপায় না পেয়ে জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দিয়ে বিষয়টি জানান। পরে ঘোড়াশাল পুলিশ ফাঁড়িকে ঘটনার বিষয়টি জানানো হয়। রাতে ঘোড়াশাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক জহিরুল আলম, উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাজেদুর রহমান ও সঙ্গীয় ফোর্স বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে দুই যুবক রাজিব ও রিফাতকে আটক করে।
ঘোড়াশাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক জহিরুল আলম বলেন, “ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”
এ ব্যাপারে পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, “আমরা দুজনকে আটক করে নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছি। ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”