• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শেরপুরে ৩৫০ কোটি টাকার কোরবানির পশু প্রস্তুত


বগুড়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ২, ২০২২, ০৯:৩০ পিএম
শেরপুরে ৩৫০ কোটি টাকার কোরবানির পশু প্রস্তুত

আর মাত্র কয়েকদিন পরই পবিত্র ঈদুল আজহা (কোরবানির ঈদ)। ঈদকে ঘিরে প্রস্তুত পশুর খামার। গত দুই বছরের হাটের তেতো স্মৃতি ভুলে খামামিরা এবার বেশ ভালোভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ছোট-বড় গরু, ছাগল, মহিষ, ভেড়া চাহিদা অনুযায়ী তারা তুলে দেবেন ক্রেতাদের হাতে।

এ বছর বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় কোরবানির হাটের জন্য গবাদিপশুর সরবরাহের সংখ্যা বেড়েছে। গরু, ছাগল, ভেড়া মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৩০০ কোটি টাকার পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। শেরপুর উপজেলায় খামারি ৫ হাজার ৩০৪ জন, এখানে ষাড় গরু ১৭ হাজার ২৯২টি, বলদ ৫ হাজার ৯৫৪টি, গাভী ৩ হাজার ৯৯৬, মহিষ ৮২টি, ছাগল ১১ হাজার ৩৭৯টি, ভেড়া ২ হাজার ৫৩৬টি। সব মিলিয়ে মোট কোরবানির পশু প্রস্তুত রয়েছে ৪১ হাজার ১৮০টি। শেরপুর উপজেলার চাহিদা ২৭ হাজার ৮৫১টি বাড়তি রয়েছে ১৩ হাজার ৩২৯টি।

শেরপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটিরিনারি হাসপাতাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কোরবানি পশু বিক্রয়ের জন্য এ উপজেলায় হাট রয়েছে ৬টি।

হাটগুলো হলো- ছোনকা, বারদুয়ারি, জামাইল, বেলঘরিয়া, ভবানীপুর ও খামারকান্দি হাট।

এই হাটগুলোতে স্বাস্থ্য ও গর্ভ পরীক্ষার জন্য শেরপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটিরিনারি হাসপাতালের সমন্বয়য়ে ভেটিরিনারি মেডিকেল টিম দায়িত্ব পালন করবেন।  

কোরবানির পশুর সবচেয়ে বেশি চাহিদা রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রামে। ঈদের বাজারকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বাইরে থেকে পাইকাররা দেশের এই বড় দুই নগরের হাটগুলোতে পশু নিয়ে আসেন। এছাড়া রাজধানী এবং এর আশপাশেও অসংখ্য খামার রয়েছে।

সরেজমিনে ব্রাকবটতলা এলাকায় শামিম অ্যাগ্রো ফার্মে গিয়ে দেখা যায়, এখানে থাকা পশু খামারগুলো কোরবানির ঈদের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে। খামারে ছোট-বড় সাইজের বিভিন্ন দামের মহিষ ও গরু সারিবদ্ধভাবে পরিচর্যা করা হচ্ছে। শেষ সময়ের পরিচর্যায় ব্যস্ত দেখা গেছে খামারের লোকজনদের।

শামিম এগ্রো ফার্মে স্বত্তাধিকাররি জাহাঙ্গীর ইসলাম বলেন, “নিজের প্রচেষ্টায় সামনের কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত। ষাড় গরু ও মহিষ পরিচর্যায় আমি কোনো ধরনের ক্ষতিকর ট্যাবলেট ও ইনজেকশন ব্যবহার করিনি। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে খড়, তাজা ঘাস, খৈল, ভুষি, চালের কুড়া, ভুট্টা, ভাতসহ পুষ্টিকর খাবারের মাধ্যমে লালন পালন করেছি। পাশাপাশি নিয়মিত দুই বার করে গোসল করানো, পরিষ্কার ঘরে রাখা ও রুটিন অনুযায়ী ভ্যাকসিন দেওয়াসহ প্রতিনিয়ত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েছি।”

তিনি আরও বলেন, “কেউ যদি খামার থেকে গরু ক্রয় করেন, তাহলে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত  এখানে লালন পালন করার সুযোগ পাবেন। এখান থেকে ঈদের আগের দিন নিয়ে যেতে পারবেন।”

শেরপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার জানান, শেরপুর উপজেলায় পর্যাপ্ত পশু আছে। এই উপজেলার চাহিদার চেয়ে বেশি কোরবানির পশু প্রস্তুত রয়েছে।

স্বদেশ বিভাগের আরো খবর

Link copied!