বরিশাল নদীবন্দরে শুক্রবার (১৫ জুলাই) রাজধানীমুখী মানুষের উপচে ভিড় লক্ষ করা গেছে। এদিন দুপুরের পরই ঢাকা-বরিশাল নৌপথের বিলাসবহুল লঞ্চগুলোর সব ডেক কানায় কানায় ভরে যায়।
শুক্রবার সন্ধ্যার আগেই ঘাটের সব লঞ্চে ধারণক্ষমতার চেয়ে তিন থেকে চার গুণ বেশি যাত্রী উঠে পড়ে। গ্রিনলাইন-৩, পারাবত- ৯, ১০, ১২ ও ১৮, মানামী, কুয়াকাটা-২, কীর্তনখোলা- ২ ও ১০, সুরভী- ৮ ও ৯, অ্যাডভেঞ্চার-১ ও ৯, সুন্দরবন-১২ লঞ্চসহ মোট ১৫টি লঞ্চ রাজধানীর উদ্দেশে রওনা দেয়।
লঞ্চ ছাড়ার আগে রাজধানীতে ফিরতে অনেকে লঞ্চের কেবিনের টিকিট না পেয়ে লঞ্চের ডেকে একটু বসার জায়গা করে নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। তারা লঞ্চের ডেকে, ছাদে ও কেবিনের আশপাশেসহ বারান্দায় কোনোরকম চাদর বিছিয়ে বসে বা দাঁড়িয়েই লঞ্চযাত্রা করেন। টার্মিনালে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।
ধারণক্ষমতার চেয়ে তিন থেকে চার গুণ বেশি যাত্রী হওয়ায় অনেকেই ভোগান্তিতে পড়েছেন। এমনকি নৌবন্দরসংলগ্ন সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করেও যাত্রীদের দুর্ভোগ কমানো যায়নি।
সদর নৌ পুলিশ থানার হাসনাত জামান জানান, মোট ১৫টি লঞ্চ যাত্রী নিয়ে বরিশাল নদীবন্দর ত্যাগ করেছে। শুক্রবার বিআইডব্লিউটিএর কোনো লঞ্চ না থাকায় যাত্রীদের ভোগান্তি আরও বেড়েছে বলে একাধিক যাত্রী অভিযোগ করেছেন।
বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিদর্শক মো. কবির হোসেন বলেন, “অতিরিক্ত যাত্রী যাতে কোনো লঞ্চ বহন করতে না পারে সে জন্য আমরা নদীবন্দরে বার বার টহল দিচ্ছি। যাত্রীদেরও সতর্ক করা হচ্ছে।”
এদিকে বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালেও ঢাকামুখী বাসে কোনো টিকিট মিলছে না। যাত্রীরা বাধ্য হয়ে যে বাস পাচ্ছেন তাতেই গাদাগাদি করে উঠে পড়েন।