• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাতের বৃষ্টিতে পানির নিচে খুলনা


খুলনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২২, ০১:০৭ পিএম
রাতের বৃষ্টিতে পানির নিচে খুলনা

অনাবৃষ্টির কারণে খুলনা অঞ্চলে ফসলের মাঠ এবং ক্ষেত খামার ও মৎস্য সম্পদের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছিলো। এরই মধ্যে বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাত থেকে বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল পর্যন্ত ভারী বর্ষণে ডুবে গেছে খুলনা শহরের অধিকাংশ এলাকা। প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল, শহর অঞ্চলের বেশিরভাগ বাড়ি ও মৎস্য ঘেরসহ ফসলের ক্ষেত।

আবহাওয়া অফিস বলছে, লঘু চাপের প্রভাবে মধ্যরাতের হঠাৎ ভারী বর্ষণ বিগত ৬ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। খুলনা আবহাওয়া অফিস বুধবার ভোর ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১৪৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে। যার মধ্যে বুধবার মধ্যরাত থেকে বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ১৩০ মিলিমিটার।

রাতের বৃষ্টিতে খুলনার নিরালা, মুজগুন্নী, বয়রা ও প্রান্তিকাসহ অধিকাংশ আবাসিকের বাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। নিচ তলা নিমজ্জিত। সকল রাস্তায় পানি। পা‌নি ঢুকেছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও। ফজর নামাজের সময় অধিকাংশ মুসল্লি রাস্তায় পানির কারণে মসজিদেও যেতে পারেননি। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে ড্রেন নির্মাণের কাজের জন্য মাটি ও বালুর বস্তা দিয়ে বেশিরভাগ ড্রেন আটকে দেওয়ার কারণে অবস্থা আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।

অধিকাংশ রাস্তা পা‌নির নিচে। ফলে চলতে পারছে না রিকশা-ইজিবাইকও। যথাসময়ে প‌রীক্ষা কেন্দ্রে যেতে চরম ভোগা‌ন্তিতে পড়েছে এসএস‌সি ও সমমানের পরীক্ষার্থীরা।

খুলনা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ বৃহস্পতিবার সকালে বলেন, “বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের কারণে রোববার থেকে খুলনায় থেমে থেমে হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছিল। এর মধ্যে বুধবার মধ্যরাত থেকে বৃহস্পতিবার ভোর  টা পর্যন্ত এ বছরের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত ১৩০ মিলিমিটার রেকর্ড করা হয়েছে। যা ৬ বছরের মধ্যে খুলনা অঞ্চলের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত।”

আমিরুল আজাদ আরও বলেন, “লঘুচাপ বৃহস্পতিবার সকালে ভারতের মধ্যপ্রদেশে গিয়ে শেষ হয়েছে। কিন্তু লঘু চাপের প্রভাব এখনো রয়ে গেছে। যে কারণে আরও ২/১ দিন বৃষ্টি হবে।”

স্বদেশ বিভাগের আরো খবর

Link copied!