প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে সবাই এখন ঘরমুখী। মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ঘরমুখী মানুষের উপচে পড়া ভিড়। দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের যাতায়াতের পথ এটি। এদিকে সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে প্রায় ১৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত আমাদের ওই দুই জেলার প্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এ তথ্য জানিয়েছেন।
মুন্সীগঞ্জ
দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুট ব্যবহার করে। রাজধানী থেকে অনেকেই পদ্মা পাড়ি দিতে ঘাটে হাজির হয়েছেন।
লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে শুক্রবার ভোর থেকে দেখা গেছে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। শিমুলিয়া ঘাট থেকে পদ্মা উত্তর সেতু থানা পর্যন্ত চার কিলোমিটার এলাকাজুড়ে হাজারের বেশি যানবাহন ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. ফয়সাল জানান, বর্তমানে মোট ১০টি ফেরি পারাপারে কাজ করছে। বাংলাবাজার নৌরুটে সাতটি ও মাঝিরকান্দা নৌরুটে তিনটি ফেরি চলাচল করছে। ঈদ উপলক্ষে যাত্রী পারাপারের সংখ্যা বেড়েছে।
সিরাজগঞ্জ
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে প্রায় ১৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সকালে মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম গোল চত্বর থেকে কড্ডার মোড় ও ঝাঐল ওভার ব্রিজ হয়ে প্রায় নলকা মোড় পর্যন্ত ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গের দিকে এ যানজট।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লুৎফর রহমান বলেন, উত্তরবঙ্গের দিকে গাড়ির প্রচুর চাপ থাকায় নলকা সেতুর পূর্ব পাশে যানজট রয়েছে। তবে নলকা মোড় থেকে হাইওয়ে থানার আওতার কোনো এলাকায় এখনো কোনো যানজটের সৃষ্টি হয়নি। পাচলিয়া এলাকায় একটি ছোট দুর্ঘটনার জন্য সকালে কিছুক্ষণ যান চলাচলে সমস্যা ছিল, এখন স্বাভাবিক আছে।