• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মোংলায় বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ


মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুন ১৫, ২০২২, ০২:১৪ পিএম
মোংলায় বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ

প্রচণ্ড খরতাপে পুড়ছে বাগেরহাটের মোংলা। রোদ আর গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। গ্রামীণ জনপদের পুকুর ও ডোবায় পানি শুকিয়ে দেখা দিয়েছে মারাত্মক পানিসংকট। কোথাও কোথাও নলকূপের পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানি উত্তোলন করা যাচ্ছে না। জ্যৈষ্ঠ পেরিয়ে আষাঢ়ে পা দিলেও নেই বৃষ্টির দেখা। এ অনাবৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে মোংলা উপজেলা ইমাম পরিষদের আয়োজনে বিশেষ নামাজ আদায় করেছেন মোংলা পৌরবাসী।

বুধবার (১৫ জুন) সকাল ৮টায় বৃষ্টির জন্য মোংলার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে বিশেষ নামাজ আদায় করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। নামাজ শেষে হাজারো মুসল্লি অংশ নিয়ে আল্লাহর কাছে বৃষ্টির জন্য বিশেষ প্রার্থনা করে কান্নাকাটি করেন।

নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি থেকে মুক্তির জন্য মহান আল্লাহর রহমত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন মোংলা ইমাম পরিষদের সভাপতি বিএলএস জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মাওলানা মো. রেজাউল করিম।

নামাজে অংশগ্রহণকারীরা জানান, অনাবৃষ্টিতে সম্ভব হচ্ছে না ফসল উৎপাদন। প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এখানকার জনজীবন। এমন দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য এ নামাজ আদায় করা হয়।

সৌদি আরবে রহমতের বৃষ্টির জন্য প্রতিবছরই একাধিকবার ইসতিসকার নামাজ পড়া হয়। বিশেষ করে যখনই অনাবৃষ্টি প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ বেড়ে যায় তখনই নামাজে ইসতিসকা আদায় করা হয়। ইসতিসকার সালাত আদায় করা নফল ইবাদত। তবে মহামারি বা দুর্যোগ এলে এই সালাতের গুরুত্ব অনেক।

মাওলানা রেজাউল করিম বলেন, দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় মানুষ পানির জন্য খুব বিপদে আছে। বৃষ্টি না হওয়ায় তাপপ্রবাহে দেশের মানুষের বিপদ-আপদ ও দুঃখ-কষ্ট হতে থাকলে আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করা সুন্নত। একেই আরবিতে বলা হয় ‘ইসতিসকা’, অর্থাৎ পানি প্রার্থনা করা।

 

স্বদেশ বিভাগের আরো খবর

Link copied!