চলতি বছরের ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন হওয়ায় দক্ষিণ বঙ্গের যে কটি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বৃদ্ধি পেয়েছে, তার মধ্যে বাগেরহাটের মোংলা বন্দর অন্যতম। এরই মধ্যে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকার বিভিন্ন কারখানার গার্মেন্টস পণ্যবাহী কনটেইনার মোংলায় পৌঁছায়। এসব পণ্য পোল্যান্ডে যাচ্ছে।
ঢাকার ২৭টি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির গার্মেন্টস পণ্যবাহী ১৭টি কনটেইনার পদ্মা সেতু হয়ে মোংলা বন্দর জেটিতে পৌঁছায়। এসব পণ্য বন্দরের ৮ নম্বর জেটিতে পানামার পতাকাবাহী এমভি মার্কস নেসনা জাহাজে বোঝাই হয়।
এসব গার্মেন্টস পণ্য নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় মোংলা বন্দর ত্যাগ করে মার্কস নেসনা। এর আগে এসব পণ্য নিতে সোমবার (২৫ জুলাই) বন্দর জেটিতে আসে বিদেশি জাহাজ মার্কস নেসনা।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর সবচেয়ে বড় চালান হিসেবে পোল্যান্ডে যাচ্ছে ঢাকার এসব গার্মেন্টস পণ্য। এর আগে পদ্মায় ফেরি চলাকালে বন্দর দিয়ে অল্প পণ্য বিদেশে রপ্তানি হয়েছিল।
মূলত পদ্মায় ফেরি জটিলতার কারণে ঢাকার এসব গার্মেন্টস পণ্যের বেশির ভাগই চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে বিদেশে রপ্তানি হতো। পদ্মা সেতুর কল্যাণে মোংলা বন্দর দিয়ে গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানিতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন ঢাকার ব্যবসায়ীরা। কারণ, সেতু চালু হওয়ার পর ঢাকা থেকে মোংলা বন্দরের দূরত্ব এখন ১৭০ কিলোমিটার। আর ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের দূরত্ব ২৬০ কিলোমিটার।
মোংলা বন্দরে জাহাজ হ্যান্ডলিং দ্রুত ও নিরাপদ হওয়ায় এবং ঢাকার সঙ্গে দূরত্ব কমে যাওয়ায় সময় ও অর্থ সাশ্রয়ে এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানিতে আগ্রহী হয়েছেন গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, “মোংলা বন্দরের জন্য আজকে একটি স্মরণীয় দিন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর ১ মাসের মধ্যে পদ্মা সেতু হয়ে মোংলা বন্দরের মাধ্যমে গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানির নবযাত্রা শুরু হলো। বিভিন্ন গার্মেন্টস কোম্পানির কনটেইনার নিয়ে সরাসরি বন্দর হতে পোল্যান্ডের উদ্দেশে এ পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। ভবিষ্যতে আমদানি-রপ্তানির এ ধারা আরও বৃদ্ধি পাবে।”