মেহেরপুরের গাংনীতে বাল্যবিবাহের অভিযোগে শশুর-জামাইয়ের জেল জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শনিবার (৭ মে) দিবাগত রাতে তাদের আটকের পর রোববার (৮ মে) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমি খানম ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাদের ৭ দিনের জেলসহ ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
কারাদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- সাহারবাটি গ্রামের এনামুল হকের ছেলে হেলাল উদ্দীন (৩৫) ও তার শশুর মোহাম্মদপুর গ্রামের পালান মন্ডলের ছেলে সোহরাব হোসেন (৬০)।
এ বিষয়ে গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “শনিবার মধ্য রাতে মোহাম্মদপুর গ্রামের সোহরাব হোসেনের ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ের সঙ্গে সাহারবাটি গ্রামের এনামুল হকের ছেলে হেলালের বিয়ে হচ্ছে বিষয়টি মটমুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ৯৯৯ এর মাধ্যমে জানতে পাওয়ার পর তাদের থানায় নেওয়া হয়। পরবর্তীতে তাদের ৭ দিনের জেলসহ ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমি খানম বলেন, “বাল্যবিবাহের চেষ্টার অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় মটমুড়া ও সাহারবাটি ইউপি চেয়ারম্যান ও পুলিশের সহযোগিতায় হেলাল উদ্দীন ও সোহরাব হোসেনকে ৭ দিনের কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি ঘটক ও ইমামের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্থানীয়রা জানায়, হেলাল উদ্দীন ইতোপূর্বে আরও ৩টি বিয়ে করেছে। রাতের আধারে গোপনে বিয়ে করতে এসে জনতা তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
মেয়ের বাবা সোহরাব হোসেন জানান, তার মেয়ে মোহাম্মদপুর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী। গরীব মানুষ নানা সমস্যা থাকার কারণে মেয়ের বিয়ে দেওয়া হয়েছে।