‘মুসলমানদের রক্ষায়’ আফগানিস্তানে সিলেটের তরুণ


সিলেট প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ১৫, ২০২১, ০৬:৩৪ পিএম
‘মুসলমানদের রক্ষায়’ আফগানিস্তানে সিলেটের তরুণ

‘মুসলমানদের রক্ষার’ নামে তালেবানদের সঙ্গে যোগ দিতে আফগানিস্তানে ‘হিজরত’ করেছেন সিলেটের তরুণ আব্দুর রাজ্জাক (২০)। এমন তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ বলছে, ‘মুসলমানদের রক্ষার’ নামে আব্দুর রাজ্জাক বাড়ি ছেড়েছেন। তার বড় ভাই সালমান খান নিখোঁজের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও ‘মুসলমানদের রক্ষার নামে তার আফগানযাত্রার’ ব্যাপারটি জানেন না তিনি।

পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট জানিয়েছে, প্রথমে ভারতে যান রাজ্জাক। এখন তিনি আফগানিস্তানে অবস্থান করছেন। তার সঙ্গে আরও অনেক বাংলাদেশি যুবক আছেন এবং সেখানে তালেবানদের সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন তারা।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, কলেজে ভর্তির পর বন্ধুদের সঙ্গে একাধিকবার তাবলিগে গিয়েছিলেন আব্দুর রাজ্জাক। বাসায় টিভি, ল্যাপটপ না থাকলেও কয়েকমাস আগে স্মার্ট ফোন কিনেন তিনি। মোবাইলের মাধ্যমে ইউটিউবে শুধু ওয়াজ শুনতেন।

রাজ্জাকের বড় ভাই সালমান খান বলেন, “গত ২৪ মার্চ সন্ধ্যা ৭টায় সিলেট নগরের লামাবাজারের বাসা থেকে বের হয়ে যায় আব্দুর রাজ্জাক। দুইদিন বন্ধু ফরিদের বাসায় থাকবেন বলে জানায় সে। পরদিন ২৫ মার্চ ফরিদের বাসা থেকে নিজ বাসায় ফেরার কথা থাকলেও আর ফেরেনি রাজ্জাক। তার বন্ধু ফরিদ লামাবাজারের পার্শ্ববর্তী এলাকার ভাতালিয়া মসজিদের হুজুর। তিনি মসজিদের কোয়ার্টারে থাকেন।”

সালমান আরও বলেন, “রাজ্জাক লামাবাজারের একটি কলেজের শিক্ষার্থী। দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকে নিয়মিত নামাজ আদায় করে সে। হাতেগোনা কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে ছিল তার চলাফেরা। প্রয়োজন ছাড়া পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলত না রাজ্জাক। এলাকায় তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। সে যে আফগানিস্তান যেতে পারে, এটা বিশ্বাস হয় না।”

রাজ্জাকের বড় ভাই আরও বলেন, “২৫ মার্চ থেকে রাজ্জাক নিখোঁজ। অনেক খোঁজাখুঁজি করেছি। শেষে গত ১ এপ্রিল সিলেটের কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করি। ওই জিডির সূত্র ধরে সালমানের সঙ্গে যোগাযোগ করে সিটিটিসি। দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে তারা জানায়, রাজ্জাক এখন আফগানিস্তানে।”

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, “সম্প্রতি তালেবানরা আফগানিস্তান যুদ্ধে অংশ নিতে মুসলিম যুবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে কিছু যুবক কথিত হিজরতের নামে ঘর ছেড়েছেন। বাংলাদেশ থেকেও গেছেন। তবে ঠিক কতজন গেছেন এ মুহূর্তে সংখ্যাটি বলা যাচ্ছে না।”

Link copied!