করোনা মহামারিকালে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় যে ক্ষতি হয়েছে, তা এক শিক্ষাবর্ষে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তিনি বলেন, “এই ক্ষতি শুধু আমাদের না, সারাবিশ্বেই হয়েছে। আশা করি শিক্ষক-অভিভাবকসহ সবার সহযোগিতায় নিশ্চয়ই ঘাটতি পুষিয়ে উঠতে পারব।”
শনিবার (১৯ মার্চ) সকালে বরিশাল বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “করোনাকালে অনলাইন ও টেলিভিশনের মাধ্যমে আমরা ৬০-৬৫ ভাগের বেশি শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছাতে পারিনি। তবে অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে ৯৩ ভাগের মতো শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছাতে পেরেছিলাম। আর বর্তমানে পুরোদমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু করা হয়েছে। অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারছি কোথায় কী ঘাটতি রয়েছে। ব্যাপারটি শিক্ষকরাও অ্যাসেস করছেন।”
মন্ত্রী আরও বলেন, “সব বিদ্যালয়ে বই পৌঁছেনি এমন তথ্য সম্ভবত সঠিক নয়। কারণ মাধ্যমিক স্তরের সব স্কুলে বই পৌঁছানো হয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তথ্য আমি বলতে পারছি না। তবে না পৌঁছানোর কোনও কারণ নেই। যদি কোনও বিদ্যালয়ে না পৌঁছে তা স্থানীয় সমস্যা। আমাকে সুনির্দিষ্ট করে বলা হলে সেই বিদ্যালয়ের বিষয়ে অবশ্যই খতিয়ে দেখব।”
এর আগে শিক্ষামন্ত্রী গোপালগঞ্জের একটি কর্মসূচিতে যোগদান করতে বরিশাল বিমানবন্দরে পৌঁছে সড়ক পথে যাত্রা করেন। পরে সকালে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে বরিশালে পৌঁছান।
এ সময়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আরও ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তার মিরা, সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান, বরিশালের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।