হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা আসতে আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। ইতোমধ্যে পূজার ছোঁয়া লাগতে শুরু করেছে শহর থেকে গ্রামে। খুলনার প্রতিটি মণ্ডপে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। খর ও মাটি দিয়ে প্রতিমার আকৃতি দেওয়া প্রায় শেষ করে এনেছেন কারিগররা।
খুলনায় এবার মোট ১ হাজার ২৫টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসবের আয়োজন চলছে। গতবারের চেয়ে এবার ২৩টি মণ্ডপে বেশি পূজার আয়োজন করা হচ্ছে। ২৫ সেপ্টেম্বর মহালয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা। ১ অক্টোবর মহাষষ্ঠীতে দেবীর বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া পূজা চলবে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত।
এ বছর দেবী গজে (হাতি) চড়ে পৃথিবীতে আসবেন। কৈলাসে ফিরবেন নৌকায়। গেলো দুই বছর করনা মহামারির কারণে উৎসবমুখর পরিবেশ ছিল না, সংক্ষিপ্ত পরিসরে ছিল পূজার আয়োজন।
জেলার পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্র জানায়, মহানগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে ১৩০টি এবং জেলার দিঘলিয়া উপজেলায় ৬০টি, তেরোখাদা উপজেলায় ১০৯টি, রূপসা উপজেলায় ৭৬টি, বটিয়াঘাটা উপজেলায় ১১৫টি, দাকোপ উপজেলায় ৮৫টি, ফুলতলা উপজেলায় ৩৪টি, ডুমুরিয়া উপজেলায় ২০৬টি, পাইকগাছা উপজেলায় ১৫৪টি ও কয়রা উপজেলায় ৫৬টি মণ্ডপে দুর্গোৎসবের আয়োজন চলছে।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক কৃষ্ণ পদ দাশ বলেন, “ইতোমধ্যেই পূজা সংক্রান্ত সব তথ্য জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মণ্ডপ এলাকায় পুলিশি টহল বাড়ানোর দাবি করা হয়েছে।”
খুলনা নগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্যামল হালদার বলেন, “মণ্ডপে মণ্ডপে আলোকসজ্জার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। প্রতিটি মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে।”
খুলনা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান জানান, মহানগরী এলাকায় জেলখানা ঘাট ও দৌলতপুর খেয়া ঘাটে বিসর্জনের সময় পুলিশি পাহারা থাকবে। পূজার পাঁচ দিন মণ্ডপ এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল থাকবে। আগামী ২১ সেপ্টেম্বর ক্রাইম কনফারেন্সে পূজা উদযাপন কমিটির নেতাদের ডাকা হবে। সেখানে পূজা উদযাপনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নেতাদের সঙ্গে আলোচনা হবে। এছাড়া প্রতিটি মণ্ডপ সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।