মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে চা শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট প্রত্যাহার হয়েছে। তাদের নতুন মজুরি ১৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় শনিবার (২০ আগস্ট) বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের কার্যালয়ে এক সভা শেষে ধর্মঘট প্রত্যাহারের কথা জানানো হয়।
৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে শনিবার অষ্টম দিনের মতো চা শ্রমিকদের আন্দোলন চলছিল। ধর্মঘট চলাকালে সরকার ও মালিকপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক হলেও মজুরি নিয়ে কোনো সমাধান না আসায় অনির্দিষ্টকালের জন্য আন্দোলন চালানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন শ্রমিকরা।
এরই মধ্যে শনিবার বিকেলে উপজেলায় বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের কার্যালয়ে চা-শ্রমিকদের সংগঠন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শুরু হয়। বেলা ৩টার দিকে শুরু হওয়া সেই বৈঠক থেকে সিদ্ধান্ত আসার পর চা-শ্রমিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা আসে।
এর আগে দুপুরে বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের উপ-পরিচালক নাহিদুল ইসলাম বলেন, চলমান শ্রমিক ধর্মঘট নিরসনে শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক চা শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য এসেছেন। সভায় মৌলভীবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ ড. মো. আবদুস শহীদ, জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসানসহ হবিগঞ্জ, সিলেট ও চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধিরা উপস্থিত আছেন।
ওই সময় বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা বলেন, শ্রীমঙ্গলে শ্রম দপ্তরের কার্যালয়ে শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী এসেছেন। সেখানে আলোচনার জন্য আমাদের ডাকা হয়েছে। আমরা সব নেতা সেখানে যাচ্ছি। আজ ধর্মঘটের অষ্টম দিন। বাগানে শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করছেন। আমরা মানসম্মত মজুরি না পেলে আন্দোলন চালিয়ে যাব।”
আন্দোলনের ১২তম ও ধর্মঘটের অষ্টম দিনে দাবি আদায়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করছেন শ্রমিকেরা। চা–বাগানের কাজ বন্ধ রেখে দাবি আদায়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায় তাদের।