মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের চর বয়রাগাদী ৯ নম্বর ওয়ার্ডস্থ কুমড়াখালী-চৌদ্দঘর সড়কের প্রায় তিন কিলোমিটারের মধ্যে আড়াই কিলোমিটার পাকা করা হয়েছে। বাকি আধা কিলোমিটার পাকা না হওয়ার কারণে পাকাকরণের কোনো সুবিধা পাচ্ছেন না এলাকাবাসী। এ রাস্তায় চলাচলে মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে ব্যাপকভাবে। সড়কটির আধা কিলোমিটার মাটির রাস্তার কারণে সামান্য বৃষ্টি হলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় ছয়টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষের।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, তিন কিলোমিটার কুমড়াখালী-চৌদ্দঘর সড়কের জন্য স্থানীয় জনগণ বছরের পর বছর কান্নাকাটি করার পর স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পাঁচ বছর আগে রাস্তার কিছু অংশ পাকা করে দেওয়া হয়। তারপর আবার বছর দুই পরে আরও এক কিলোমিটার পাকা করে দেয়। এক বছর আগে আরও কিছু অংশ আরসিসি ঢালাই করে দেওয়া হয়। এতে অসমাপ্ত থেকে যায় আরও প্রায় আধা কিলোমিটার মাটির কাঁচা রাস্তা। যার কারণে পুরো রাস্তাটি এখন ব্যবহারে অযোগ্য।
উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চরবয়রাগাদী থেকে এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। রাস্তাটির চর ফুরশাইল মসজিদসংলগ্ন সেতুর সামনে থেকে তালতলা বাজারে আসার খেয়াঘাট পর্যন্ত আধা কিলোমিটার মাটির কাঁচা রাস্তা ওপর বর্তমানে খানাখন্দ কাদাপানির নর্দমায় পরিনত হয়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তায় সৃষ্টি হয় পানিভর্তি ছোট-বড় গর্ত, তখন আর মানুষজন এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে পারেন না। তালতলা বাজারের খেয়াঘাট পার হয়ে অটোরিকশায় বালুচর হয়ে মোল্লা বাজার দিয়ে হাজারো মানুষ ঢাকায় যাতায়াতে করে প্রতিদিন এই রাস্তায়।
বালুচর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হাজী মো. আওলাদ হোসেন বলেন, “রাস্তাটি পাকাকরণের বিষয়ে আমি সিরাজদিখান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন ভাইয়ের সঙ্গে আলাপ করেছি। রাস্তাটি গত বছর উপজেলা পরিষদের তহবিল থেকে এক কিলোমিটার পাকাকরণ করা হয়েছে। বাকিটুকু পাকাকরণ করার জন্যে উপজেলা পরিষদের ফান্ড আসলে তিনি বরাদ্দ দেবেন বলে আমাকে কথা দিয়েছেন। আর যদি কোনো কারণে উপজেলা পরিষদের ফান্ড নাও পাই, আমি অন্য ফান্ড থেকে হলেও আগ্রাধিকার ভিক্তিতে রাস্তাটি মাটির কাঁচা অংশ পাকাকরণ করব।”