করোনার টিকার বুস্টার ডোজ নিতে মানুষের মধ্যে অনীহা কাজ করছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, “দেশের প্রায় ৮০ ভাগ মানুষ টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন। কিন্তু তারা সেভাবে বুস্টার ডোজ নেননি। মাত্র তিন কোটি মানুষ বুস্টার ডোজ নিয়েছেন। অথচ প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১৩ কোটি মানুষ। তিনি বলেন, “আমরা দোকান খুলে বসে আছি, যে দোকানে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। কিন্তু ক্রেতা নেই। পৃথিবীর খুব কম দেশেই বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়।”
শনিবার দুপুরে মানিকগঞ্জের কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জনসন জনসনের সহযোগিতায় এ কর্মসূচির আয়োজন করে বাংলাদেশ সোসাইটি অব সার্জন।
জাহিদ মালেক বলেন, “আমাদের ওষুধপত্রের অভাব নেই। শতভাগ ওষুধ আমাদের দেশেই তৈরি হয়। এসব ওষুধ বিশ্বমানের, যা বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। একটি বিষয়ের ঘাটতি আমরা পুরোপুরি মেটাতে পারিনি। আমাদের প্রশিক্ষিত জনবলের প্রয়োজন। এ জন্যই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দক্ষতা বাড়বে। তাদের ওপর রোগীরা আস্থা রাখবেন।”
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, “করোনাভাইরাসের চিকিৎসার মধ্যে লিকুইড অক্সিজেনের খুবই প্রয়োজন ছিল। আমাদের দেশে লিকুইড অক্সিজেন তৈরি হলেও প্রয়োজনের তুলনায় কম। যখন বেশি প্রয়োজন হয়েছে তখন ভারত থেকে এনেও ব্যবহার করেছি। এখন আমরা বাংলাদেশে নতুন করে দুটি লিকুইড অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপন করতে যাচ্ছি।”
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আবদুল লতিফ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান, কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মো. জাকির হোসেন, হাসপাতালের পরিচালক বজলুল করিম চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম ও মানিকগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. রমজান আলী প্রমুখ।