জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় বেড়েছে বাসের ভাড়া। গণপরিবহনে নতুন ভাড়া নির্ধারণের প্রভাব পড়েছে রেলওয়েতে। ভাড়া-ভোগান্তির শিকার যাত্রীরা এখন বিকল্প পথ খুঁজতে ভিড় করছেন রেলস্টেশনে। এতে ট্রেনে দেখা দিয়েছে বাড়তি চাপ।
সিলেট রেলওয়ে স্টেশনেও একই চিত্র দেখা গেছে। ঢাকা, চট্টগ্রামসহ অন্যান্য গন্তব্যের যাত্রীরা এখন বাস ছেড়ে ট্রেনের দিকে ছুটছেন। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে তারা টিকিট সংগ্রহের চেষ্টা করছেন। যারা আসন পাচ্ছেন না, তারা বাধ্য হয়ে নিচ্ছেন আসনবিহীন (স্ট্যান্ডিং) টিকিট।
যাত্রীরা বলছেন, একদিকে নিরাপদ যাত্রা, অন্যদিকে ভাড়াও অর্ধেক। তার ওপর নেই যানজটের দুর্ভোগ। ফলে সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছার নিশ্চয়তা পাওয়া যায়। এমন বাস্তবতায় দূরপাল্লার বাসের বেশির ভাগ যাত্রীই এখন ট্রেনের পথ ধরেছেন।
জানা গেছে, যাত্রীদের বাড়তি চাপের কারণে স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রির উদ্যোগ গ্রহণ করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। দাঁড়িয়ে যাত্রায় কষ্ট হলেও আসন না পাওয়া যাত্রীদের সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে আসনবিহীন টিকিট পেয়ে।
সিলেট রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার আবু নাসের মো. রাসেল বলেন, “বাসের ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় দুই দিন ধরে রেলস্টেশনে যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে। আন্তনগর এবং লোকাল দুই ধরনের ট্রেনে একই অবস্থা।”
আবু নাসের মো. রাসেল আরও বলেন, “যতক্ষণ আমাদের কাছে টিকিট আছে, ততক্ষণ আমরা টিকিট দিতে পারছি। আসন না থাকলে তখন আমরা আসনবিহীন টিকিট দিচ্ছি। যাত্রীদের চাপের কারণে রেলের কোনো শিডিউল বিপর্যয় ঘটছে না। সব ট্রেন সময়মতো স্টেশন ছেড়ে যাচ্ছে।”
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পর সিলেট-ঢাকা রুটে বাসের ভাড়া প্রায় ১৩০ টাকা বেড়ে গেছে। আগে সিলেট থেকে ঢাকায় যাত্রী পরিবহন করা দূরপাল্লার বাস জনপ্রতি ৫৭০ টাকায় চলাচল করত। এখন সেই ভাড়া বৃদ্ধি পেয়ে ৭০০ টাকা হয়েছে।