বাগেরহাটের মোংলায় বন্ধুর ছুরিকাঘাতে বন্ধু নিহতের ঘটনার ঘাতক মো. মারুফ হোসাইনকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) রাতে খুলনার কয়রা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে দুপুরে মারুফকে প্রধান আসামি ও অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন নিহতের বড় বোন খাদিজা বেগম।
গ্রেপ্তার মারুফ খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার মো. আব্দুর রশিদের ছেলে। তিনি মোংলা পৌর শহরের ছাড়াবাড়ি এলাকায় ভাড়া থাকতেন।
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম জানান, ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত মারুফকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ তৎপর ছিল। মঙ্গলবার রাতে খুলনা জেলার কয়রা এলাকা থেকে মারুফকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
স্ত্রীকে বিয়ে করা নিয়ে শত্রুতার জেরে সোমবার (২৮ মার্চ) রাত ৮টার দিকে মোংলাপোর্ট পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ছাড়াবাড়ি এলাকায় মো. শাহীনকে হত্যা করে তার বন্ধু মো. মারুফ হোসাইন।
নিহত শাহীন ছাড়াবাড়ি এলাকার মো. একরামুল হকের ছেলে। তিনি মোংলাপোর্ট এলাকার জাহাজের শ্রমিক হিসাবে কাজ করতেন।
দেড় বছর আগে মারুফের তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী নাদিরাকে বিয়ে করেন শাহীন। এরপর থেকেই বিভিন্ন সময় শাহীনকে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিলেন মারুফ—এমন দাবি করেছে নিহতের পরিবার।