কালবৈশাখী ঝড়ে বগুড়ার ধুনট উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নে পাঁচ শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি ও গাছপালা লণ্ডভণ্ড হয়েছে। এ সময় ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে মৌসুমি ফল আম, লিচু, কলা, ভুট্টাক্ষেত, ধানসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (১৩ মে) মধ্যরাতে কালবৈশাখী তাণ্ডব শুরু হয়। এই ঝড় স্থায়ী ছিল তিন মিনিট। এ সময় ঝড়ের তাণ্ডবে মথুরাপুর, পিরহাটি, শ্যামগাতি, খাদুলী ও ভাদাইলহাটাসহ কমপক্ষে ১০ গ্রামের মানুষের ক্ষয়ক্ষতি হয়। প্রবল বেগে বয়ে চলা বাতাসে অনেকের ঘরের চালা উড়ে গেছে। নষ্ট হয়েছে ঘরে রক্ষিত খাদ্যসামগ্রী। লণ্ডভণ্ড হয়েছে ঘরের আসবাবপত্র।
কালবৈশাখী ঝড়ে ছোট-বড় অসংখ্য গাছপালা উপড়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ সঞ্চালনের তার ছিঁড়ে বিচ্ছিন্ন রয়েছে বিদ্যুৎসংযোগ। ভেঙে গেছে বিদ্যুতের অসংখ্য মিটার। রাস্তায় গাছ পড়ে বন্ধ রয়েছে যান চলাচল। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো বসবাস করছে খোলা আকাশের নিচে। বোরো ধানের ক্ষতি হওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছে কৃষকরা। ঝড়ে পিরহাটি গ্রামের একটি মাদরাসার শ্রেণিকক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
উপজেলার শ্যামগাতী গ্রামের বাসিন্দা আশরাফ আলী বলেন, “গভীর রাতে হঠাৎ করে পশ্চিম দিক থেকে শোঁ শোঁ শব্দ করে কিছু বুঝে ওঠার আগেই মুহূর্তের মধ্যে ঘরবাড়ি উড়িয়ে নিয়ে যায়। গাছপালা ভেঙে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। বর্তমানে পরিবার-পরিজন নিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছি।”
ধুনট উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হাসান আহম্মেদ জেমস মল্লিক বলেন, “কালবৈশাখী ঝড়ে পাঁচ শতাধিক পরিবারের বাড়িঘর ও গাছপালা ভেঙে গেছে। ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। ঝড়ের তাণ্ডবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। তবে ক্ষতিগ্রস্ত এসব পরিবারের তালিকা তৈরি করে যতটুকু সম্ভব সহযোগিতা করা হবে।”