গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী কুমারভিটা এলাকার ইমরান খান নামে এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্কের টানে লিডিয়া লুজা নামে এক মার্কিন তরুণী বাংলাদেশে এসেছেন।
সোমবার (১১ জুলাই) ভোর তিনটার দিকে হজরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান লিডিয়া। এসময় ইমরান তাকে স্বাগত জানান ও বাড়িতে নিয়ে আসেন।
জানা গেছে, লিডিয়া লুজা যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনার বাসিন্দা। বাবা নেই, মা অন্য পরিবারের সদস্য। দুই ভাইয়ের একমাত্র বোন তিনি। ছোটবেলা থেকেই লুজা দাদুর কাছে বড় হয়েছেন। ধর্মান্তরিত হওয়ায় এখন তার নামের সঙ্গে স্বামীর পরিবারের উপাধি হিসেবে ‘খান’ শব্দটি যুক্ত হয়েছে।
এদিকে ইমরান খান গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার বরমী কুমারভিটা এলাকার মৃত জালাল উদ্দিন মাস্টারের ছেলে। তিনি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইস্টওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করছেন।
ইমরান খান জানান, জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে ফেসবুকের মাধ্যমে লিডিয়া লুজার সঙ্গে পরিচয় হয়। মাসখানেক পর লুজা বিয়ের প্রস্তাব দেয়। প্রথমে বিয়ের কথাটা বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। পরে মার্চ মাসের প্রথম দিয়ে আমেরিকা থেকে তুর্কি হয়ে লুজা বাংলাদেশে আসে। আমেরিকার নাগরিক হওয়ায় তার ধারণা ছিল ভিসা ছাড়াই সে বাংলাদেশে আসতে পারবে। তবে বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ সেখান থেকে আবার তাকে ফেরত পাঠায়। পরে উভয় পরিবারের সিদ্ধান্তে তারা নেপালে সাক্ষাৎ করেন। ওই সময় নেপালের একটি মসজিদে তারা বিয়ে করেন। লুজার সঙ্গে কেউ না থাকলেও ইমরানের সঙ্গে ওই সময় পরিবারের সদস্যরা ছিলেন। সেখানে কয়েক দিন অবকাশ কাটিয়ে যার যার দেশে ফেরেন লুজা ও ইমরান। পরে ইমরানের সহযোগিতায় ভিসা সম্পাদনের মাধ্যমে ১১ জুলাই সোমবার লুজা বাংলাদেশে আসেন।
লিডিয়া লুজা বলেন, “ফেসবুকে পরিচয়, পরে আলাপচারিতায় ইমরানকে ভালো লাগে। উভয় পরিবারের সম্মতিতেই ধর্মান্তরিত হয়ে তাকে বিয়ে করেছি।”
ইমরান সৎ মানুষ। সেদিক দিয়ে বাংলাদেশের মানুষও সৎ। প্রকৃতির মতো এদেশের মানুষগুলোও সহজ সরল। এখানকার মানুষজন ইংরেজি না জানায় ভাব বিনিময়ে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে বলে জানান লুজা।
লিডিয়া লুজা আরও বলেন, “শাশুড়ি আনোয়ারা বেগম অসুস্থ। তাই মাঝে মধ্যে আমেরিকা যাবেন এবং বেশির ভাগ সময় স্বামী ইমরানের বাড়িতেই থাকবেন। শাশুড়ি সুস্থ হলে ইমরানকে নিয়ে আমেরিকায় বসবাস করবেন।”
ইমরানের মা আনোয়ারা বেগম বলেন, আমেরিকার মেয়েকে বিয়ে করায় খুশি হয়েছি। যেহেতু ধর্মান্তরিত হয়ে তারা এ বিয়েতে আবদ্ধ হয়েছেন, সেজন্য পারিবারিকভাবে মেনে নিতে সমস্যা হয়নি।