• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুকে পরিচয়, কলেজছাত্রকে বিয়ে করলেন ৪০ বছরের শিক্ষিকা


নাটোর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ৩১, ২০২২, ০৮:২২ পিএম
ফেসবুকে পরিচয়, কলেজছাত্রকে বিয়ে করলেন ৪০ বছরের শিক্ষিকা

৬ মাস চুটিয়ে প্রেমের পর এক কলেজছাত্রের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন সহকারী অধ্যাপক পদ মর্যাদার এক কলেজশিক্ষিকা। নাটোর এন এস সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মামুনের (২২) সঙ্গে গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোছা. খাইরুন নাহারের (৪০) বিয়ে হয়।

ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে গত বছরের জুনে তাদের প্রথম পরিচয়। তারপর গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। ওই বছরের ১২ ডিসেম্বর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা। সপ্তাহ খানেক আগে তাদের বিয়ের বিষয়টি প্রকাশ হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

তাদের উভয়ের বাড়ি নাটোরের গুরুদাসপুরে। বর্তমানে এই দম্পতি নাটোর শহরের একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করছেন।

জানা গেছে, গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোছা. খাইরুন নাহার। প্রথমে বিয়ে হয়েছিল রাজশাহীর বাঘায়। সেখানে তার এক সন্তানও রয়েছে। তবে পারিবারিক কলহে সে সংসার বেশি দিন টিকেনি। তারপর কেটে যায় অনেক দিন। এরই মাঝে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয় ২২ বছরের যুবক মামুনের সঙ্গে। মামুনের বাড়ি একই উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামে। তিনি নাটোর এন এস সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

এ প্রসঙ্গে খাইরুন নাহার বলেন, “প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলাম। আত্মহত্যা করারও সিদ্ধান্ত নেই। সে সময় ফেসবুকে পরিচয় হয় মামুনের সঙ্গে। মামুন আমার খারাপ সময় পাশে থেকে উৎসাহ দিয়েছে এবং নতুন করে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখিয়েছে। পরে দুজন বিয়ের সিদ্ধান্ত নিই। বিয়ের পর মামুনের পরিবার মেনে নিলেও আমার পরিবার মেনে নেয়নি।”

সকলের কাছে দোয়া চেয়ে মামুন বলেন, “কে কী বলল সেগুলো মাথায় না নিয়ে নিজেদের মতো সংসার গুছিয়ে নিয়ে জীবন শুরু করেছি। সকলের কাছে দোয়া চাই।”

স্বদেশ বিভাগের আরো খবর

Link copied!