• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফের বিপৎসীমার ওপরে তিস্তা ও ধরলার পানি


লালমনিরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুন ২৯, ২০২২, ০৬:৩৯ পিএম
ফের বিপৎসীমার ওপরে তিস্তা ও ধরলার পানি

ভারী বর্ষণ আর উজানের ঢলে ফের বেড়েছে তিস্তা ও ধরলার পানি। আবারও পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ১৫ হাজার পরিবার। জরুরি হয়ে পড়েছে শুকনো খাবারের।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ভারী বর্ষণ আর উজানের ঢলে বুধবার ভোর রাত থেকে তিস্তা, ধরলা ও সানিয়াজান নদীর পানি বাড়তে থাকে। বিকাল ৩টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার সাত সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং ধরলার পানি বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে সম্প্রতি যে সকল এলাকা থেকে পানি নেমে যায়, ওই এলাকাগুলো আবারও পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া, সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিংগীমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া ও ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের ১২০০ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। বন্যার পানিতে রাস্তা ঘাট তলিয়ে গেছে, পানির স্রোতে আঞ্চলিক সড়কগুলো ভেঙে যাচ্ছে। অনেক পরিবার রান্না করতে না পেরে শিশু সন্তান নিয়ে কষ্টে জীবনযাপন করছেন।

উপজেলার ফকিরপাড়া এলাকার মোজাম্মেল হক বলেন, “রান্নাঘরে পানি ঢুকায় চুলা জ্বালানোর কোনো ব্যবস্থা নাই। সকাল থেকে বিস্কুট খেয়ে গবাদি পশু নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছি।”

উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য জাকির হোসেনসহ কয়েকজন জনপ্রতিনিধি জানান, নদীর পানি বেড়ে এলাকার কয়েক শ মানুষ পানিবন্দী হয়েছেন। পানিবন্দী পরিবারগুলোর ত্রাণ সহায়তা জরুরি প্রয়োজন।

হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজির হোসেন বলেন, “উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের লোকজন পানিবন্দী রয়েছেন। পানিবন্দী লোকজনের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে দ্রুত ত্রাণ বিতরণ করা হবে।”

জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, “জেলায় নতুন করে বন্যা দেখা দিয়েছে। শিগগিরই ক্ষতিগ্রস্তদের জিআর চাল এবং শিশু খাদ্য, গো-খাদ্য ও শুকনো খাবার বিতরণের ব্যবস্থা করা হবে।”
 

স্বদেশ বিভাগের আরো খবর

Link copied!