নাটোরের গুরুদাসপুরের বিলশা বিল থেকে শনিবার (২৮ আগস্ট) আরজু (২৭) নামে এ মাঝির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বাইজিদ বোস্তামী (১৮) নামের এক তরুণকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার বাইজিদ পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
সোমবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা এসব তথ্য জানান।
নিহত আরজু মাঝি সিংড়া উপজেলার চামারি ইউনিয়নের আনন্দনগর গ্রামের কদম আলীর ছেলে। অভিযুক্ত বাইজিদ গুরুদাসপুর উপজেলার বিলহরিবাড়ি গ্রামের নাছির বোস্তামীর ছেলে।
পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, আরজু মাঝির প্রতিবেশী এক স্কুলছাত্রীর সঙ্গে বাইজিদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সেই সূত্র ধরে বাইজিদ ওই গ্রামে ঘন ঘন যাতায়াত শুরু করেন। সম্প্রতি ওই বিষয় নিয়ে আনন্দনগর গ্রামে বাইজিদ ও তার তিন বন্ধুর সঙ্গে আরজু মাঝির বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে আরজুকে হত্যার পরিকল্পনা করে বাইজিদ ও তার বন্ধুরা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর আরজু মাঝি তার নৌকায় বাইজিদদের নিয়ে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। নৌকাটি গুরুদাসপুর উপজেলার হরদমা বিলে পৌঁছালে নৌকা থামিয়ে বাইজিদ ও তার বন্ধুরা মিলে গাঁজা সেবন করে। এক পর্যায়ে বাইজিদের দুই বন্ধুর একজন আরজু মাঝির পা ও গলা ধরে রশি দিয়ে নৌকার সাথে বেঁধে ফেলে। এ সময় বাইজিদ আরজু মাঝিকে প্রেমে বাধা দেওয়ার কথা বলে। প্রতিশোধ হিসাবে আরজু মাঝিকে খুন করার কথা জানায়। এ সময় আরজু মাপ চেয়ে বাঁচার আকুতি জানান। তাতেও মন গলেনি অভিযুক্তদের। এ সময় ১০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে তারা। টাকা আসতে দেরি হওয়ায় বাইজিদের এক বন্ধু চাইনিজ কুড়াল দিয়ে আরজু মাঝির মাথার পেছনে কোপাতে থাকে। এতে আরজু নিস্তেজ হয়ে পড়লে বাঁধন খুলে বিলের পানিতে ফেলে দেওয়া হয়।
পলাতক দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।