সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবাইকে নির্দেশনা দিয়েছেন বলে সবাই এগিয়ে এসেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, “আমাদের দলের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা এগিয়ে এসেছিল। দুর্ঘটনাস্থল থেকে আহত-নিহতদের উদ্ধার করা থেকে শুরু করে সমস্ত কাজে দলের নেতা-কর্মীরা শুরু থেকে এখন পর্যন্ত আছে।”
সোমবার (৬ জুন) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে দগ্ধদের দেখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
নেতা-কর্মীদের প্রশংসা করে হাছান মাহমুদ বলেন, “সবাই এগিয়ে এসেছেন বলে যাদের রক্ত প্রয়োজন, তাদের রক্তের কোনো অভাব হয়নি। যে বডি ফ্লুইড দরকার সেটিরও কোনো অভাব হয়নি। এত বড় একটা ক্যাজুয়ালিটিতে এগুলো অভাব হতে পারত। কিন্তু সবাই এগিয়ে এসেছে বিদায় অভাবটি হয়নি।”
মির্জা ফখরুলের সমালোচনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, “মির্জা ফখরুল সাহেব না দেখে ঠাকুরগাঁও বসে মুখস্থ বক্তব্য দিয়ে দিলেন, কই তাদের তো কোনো নেতা-কর্মী ছুটে আসেনি। এখানে রক্ত দেওয়ার জন্য কিংবা ফ্লুইড দেওয়ার জন্য তাদের কাউকে দেখা যায়নি। সব তো আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাই ছুটে এসেছে।”
তিনি মির্জা ফখরুলের ‘সরকার সব ক্ষেত্রে ব্যর্থ, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সরকার কোনো উন্নতি করতে পারেনি। সেটারই পরিণতি ঘটেছে’ প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “ইদানীংকালের কথাবার্তায় মনে হচ্ছে, ওনার একটু চিকিৎসার দরকার আছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বজ্ঞানে কথা বলেছেন কি না আমি জানি না, নাকি উনি আধাচেতন অবস্থায় কথা বলেছেন। যেটা গয়েশ্বর বাবু বলেন, সে রকম বলেছেন কিনা ও আমি জানি না।”
দেশের স্বাস্থ্য খাতের উন্নতির কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা যদি ভালো না হতো, দক্ষিণ এশিয়ায় করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ এক নম্বর হতো না। এ দুর্ঘটনার পর স্বাস্থ্যকর্মীরা, ডাক্তার-নার্সরা এবং ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যারা যুক্ত তারা যেভাবে এগিয়ে এসেছে, এটি অভাবনীয়।”