ভোলার লালমোহনে পেট জোড়া লাগা যমজ শিশুর জন্ম হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) রাতে উপজেলা শহরের একটি ক্লিনিকে সিজারের মাধ্যমে এ দুই শিশুর জন্ম দেন মিতু বেগম নামের এক নারী।
মিতু বেগম উপজেলার মুন্সিরহাওলা গ্রামের বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী। বিল্লাল হোসেন পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী।
মিতু বেগমের পরিবারের লোকজন জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মিতু বেগমের প্রসববেদনা উঠলে দ্রুত তাকে লালমোহন উপজেলার শহরের একটি ক্লিনিকে ভর্তি করানো হয়। পরে রাত ৮টার দিকে সিজারের মাধ্যমে যমজ শিশুর জন্ম হয়। তবে দুই শিশুর পেটের অংশটি জোড়া লাগানো। প্রসূতি মিতু বেগমের সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার করেন গাইনি সার্জন ডা. মুমতাহিনা হক জিম।
লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গাইনি সার্জন ডা. মুমতাহিনা হক জিম জানান, মা ও নবজাতকেরা এখন পর্যন্ত সুস্থ আছেন। উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে দুজনকে আলাদা করা সম্ভব এবং তারা সুস্থভাবে বাঁচতে পারবে বলে জানান গাইনি সার্জন ডা. মুমতাহিনা হক জিম।
যমজ নবজাতকের বাবা বিল্লাল হোসেন জানান, তিনি একজন রাজমিস্ত্রী। এ কাজ করে কোনো রকম সংসার চলে তাদের। জোড়া লাগানো যমজ শিশু দুজনকে অপারেশনের মাধ্যমে আলাদা করতে যে অর্থের প্রয়োজন তা বিল্লালের পক্ষে জোগার করা সম্ভব নয়। তাই আর্থিকভাবে অসচ্ছল হওয়ায় শিশু দুটিকে বাঁচাতে সরকার ও হৃদয়বান ব্যক্তিদের কাছে আর্থিক সহায়তা চেয়েছেন তিনি।
ভোলার সিভিল সার্জন ডা. কে.এম শফিকুজ্জামান বলেন, ৪৮ ঘণ্টা পর পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে দেখতে হবে, শিশু দুটির হার্ট বা শরীরের অন্য অঙ্গগুলো পৃথক আছে কিনা। যদি সব ঠিকঠাক থাকে তাহলে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তাদের আলাদা করা সম্ভব। সেজন্য ঢাকা নেওয়া প্রয়োজন।