বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে নিরাপদে কূলে আশ্রয় নিয়েছে মাছ ধরার শত শত ট্রলার। উপকূলে বহাল রয়েছে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত।
এদিকে, লঘুচাপের কারণে মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) থেকে বরগুনায় থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে জেলার প্রধান তিনটি নদী পায়রা, বিষখালী ও বলেশ্বরের জোয়ারের পানি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বরগুনার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বসতবাড়ি তলিয়ে গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্নাঞ্চলের মানুষ। দুর্বল বাঁধ ভাঙার আতঙ্কে রয়েছেন তারা।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বুধবার (১০ আগস্ট) জেলার প্রধান তিনটি নদী পায়রা, বিষখালী ও বলেশ্বরে জোয়ারের পানি ৩ দশমিক ২১ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। যা বিপৎসীমার ৩৬ সেন্টিমিটার ওপরে। এছাড়াও মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ১৯ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “লঘুচাপের সংকেত পাওয়ার পর মাছ ধরার ট্রলারগুলো নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরে এসেছে।”
ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) বরগুনার রেডিও অপারেটর গোলাম মাহমুদ বলেন, “বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে বরগুনায় বৃষ্টি হচ্ছে। তবে এটি মৌসুমি লঘুচাপ হওয়ায় বৃষ্টিপাত কতদিন থাকবে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।”
লঘুচাপটি আস্তে আস্তে দুর্বল হচ্ছে বলেও জানান তিনি।