পরকীয়া প্রেমিকের হাতে প্রবাসীর স্ত্রী খুন


চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৯, ২০২১, ০৩:১৯ পিএম

প্রবাসী স্বামীর বাড়ি ফেরা ও মনোমালিন্যের জেরে পরকীয়া প্রেমিকের হাতে খুন হন আয়না খাতুন (৩৮)। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মামুন মণ্ডলসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে নিজ ঘরে খুন হন আয়না খাতুন। পরদিন (বুধবার) সকালে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

পুলিশ জানায়, প্রবাসী স্বামীর বাড়ি ফেরা নিয়ে পরকীয়া প্রেমিক মামুন মণ্ডলের সঙ্গে মনমালিন্যের সৃষ্টি হয় আয়না খাতুনের। এরই জেরে ক্ষুব্ধ হয়ে ভাগ্নে রাব্বিকে ব্যবহার করে শরবতের মধ্যে চেতনা নাশক ওষুধ মিশিয়ে আয়নাকে পান করান মামুন। রাতে আয়না জ্ঞান হারালে তার ঘরে ঢুকে ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে মামুন।

বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টায় চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে চুয়াডাঙ্গা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু তারেক এসব তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনে আবু তারেক জানান, আয়নার স্বামী কুয়েত প্রবাসী হওয়ার সুবাদে তার সঙ্গে প্রতিবেশী যুবক মামুন মণ্ডলের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্কের এক পর্যায়ে মামুন বিয়ের প্রস্তাব দেয় আয়নাকে। এতে আয়না অস্বীকৃতি জানালে দুজনের মধ্যে বিবাদ তৈরি হয়। এরমধ্যে প্রবাসী স্বামী হাবিবুর রহমান হাবিলের দেশে ফেরার খবরে আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে মামুন। এরই এক পর্যায়ে চালানো হয় এই হত্যাকাণ্ড। 

পুলিশ কর্মকর্তা আবু তারেক আরও বলেন, “মরদেহটি বিবস্ত্র অবস্থায় ঘরে পড়ে ছিল। এ থেকে আমাদের সন্দেহ ওই নারীকে হত্যার আগে ধর্ষণ করা হতে পারে। যদিও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনো পাওয়া যায়নি। তাই এখনই এ বিষয়টি নিশ্চিত নয়।” 

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জাহাঙ্গীর আলম জানান, ঘটনার পর থেকেই মাঠে নামে পুলিশ। একদিনের মধ্যেই হত্যার রহস্য অনেকটা উদঘাটন করা হয়েছে। এ হত্যা কাজে ব্যবহৃত বেশ কিছু আলামতও জব্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে হত্যায় ব্যবহৃত রক্তমাখা ছুরি, চেতনা নাশক ওষুধ মেশানো পানির গ্লাস, রক্তমাখা কাপড়, মোবাইল ফোন, ঘাতকের স্যান্ডেল ও লুঙ্গি জব্দ করা হয়েছে।

Link copied!