পদ্মা বিধৌত রাজবাড়ী জেলার নদী তীরবর্তী মানুষের জীবিকা নির্বাহের অন্যতম মাধ্যম যেমন নদী, ঠিক তেমনি পদ্মার ভয়ঙ্কর রূপে তছনছ হয় তাদের জীবন ও স্বপ্ন। পদ্মায় পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেখা যাচ্ছে স্রোতে ভেসে আসা গবাদিপশুর মরদেহ।
শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে পদ্মায় গিয়ে দেখা যায় ভেসে আসছে গবাদিপশুর লাশ।
রাজবাড়ীর বন্যা কবলিত বিভিন্ন এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বন্যার পানি ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়েছে। রান্নাবান্না করে মানুষের খাবারের জোগানই সম্ভব হচ্ছে না। সেই সঙ্গে গবাদিপশুর খাদ্য সংকটও দেখা দিয়েছে চরমে। আবার অনেক সময় স্রোতের টানে অনেক গবাদিপশুই ভেসে চলে যাচ্ছে।
গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের আকলিমা বেগম জানান, তার ৩টি ছাগল ছিল। কিন্তু পদ্মার ভাঙন ও তীব্র স্রোতে ২টি ছাগল নদীতে ভেসে চলে যায়।
সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের মোতালেব প্রামাণিক বলেন, “আমার গরুটা নদীর তীরে বাঁধা ছিল। হঠাৎ নদীর তীরের ভাঙনে গরুটি ভেসে যায়। গরুটি উদ্ধারের চেষ্টা করি, কিন্তু স্রোতের সঙ্গে পেরে উঠি নাই। গরুটা শেষ পর্যন্ত তীব্র স্রোতে ভেসে চলে যায়।“
পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে জানানো হয়, জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল আহাদ জানিয়েছিলেন, সদর উপজেলার মাহেন্দ্রপুর পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং পাংশা উপজেলার সেনগ্রাম পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।