• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২২ মাঘ ১৪৩০,

পদ্মার ভাঙনে ঝুঁকিতে বিদ্যালয় ও ক্লিনিক


ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ৩০, ২০২১, ১২:৫৯ পিএম
পদ্মার ভাঙনে ঝুঁকিতে বিদ্যালয় ও ক্লিনিক

ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে পদ্মায় তীব্র নদী ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি কমিউনিটি ক্লিনিক। 

বালিয়াডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) বেলা ২টা থেকে বিকেল ৪টা ও সোমবার (৩০ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত ভাঙনের ফলে কাঁচা রাস্তাসহ প্রায় ৪০ শতাংশ জমি পদ্মা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙতে ভাঙতে পদ্মা নদী বর্তমানে পাশাপাশি অবস্থিত স্কুল ও ক্লিনিকের মাত্র ১০ মিটারের মধ্যে চলে এসেছে। ভাঙন রোধে এখনই ব্যবস্থা নেওয়া না হলে দুটি সরকারি প্রতিষ্ঠানসহ আশপাশের বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।

বালিয়াডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. লুৎফর রহমান বলেন, “১৯৮৮ সালে বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। ১৯৯৮ সালের বন্যার পর বিদ্যালয়ের ভবনটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। পরে ২০০৬ সালে বিদ্যালয়টি বর্তমান স্থানে আনা হয় ও দ্বিতল একটি ভবন নির্মাণ করা হয়। কিন্তু সেটিও ভাঙনের মুখে পড়েছে।”

বালিয়াডাঙ্গী কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মরত হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার খালেদা আক্তার বলেন, “নতুন একতলা ভবনটি নির্মাণ করা হয় ২০১৮ সালে। নদীভাঙন এখন ক্লিনিকের খুব কাছে চলে এসেছে। এ অবস্থায় ব্যবস্থা নেওয়া না হলে ক্লিনিকটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।”

পদ্মা নদীর ভাঙনের মুখে রয়েছে উপজেলার চরহরিরামপুর ইউনিয়নের সবুল্লাহ শিকদারের ডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ওই স্কুলের ৪০ মিটারের মধ্যে চলে এসেছে পদ্মা নদী।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, “বিদ্যালয়টি ১৯৭০ সালে স্থাপন করা হয়। ১৯৯৭ সালের ভাঙনে সে স্থাপনা বিলীন হয়ে যায়। পরে বর্তমানের জায়গায় চারচালা একটি টিনের ঘরে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। সে স্থাপনাও এখন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।”

মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ আরও বলেন, “সাত দিন আগে বিদ্যালয় সংলগ্ন ওই এলাকায় ভাঙন দেখা দেয়। ভাঙনের কারণে ১৫০ জন শিক্ষার্থী ও ৪ জন শিক্ষক নিয়ে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছি আমরা।”

ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ বলেন, “বালিয়াডাঙ্গী, ফাজেলখারডাঙ্গী ও সবুল্লাহ শিকদারের ডাঙ্গী গ্রামের ভাঙন রোধে অস্থায়ীভাবে ডাম্পিংয়ের জন্য ১৫ হাজার ৮৯৪টি জিও ব্যাগ বরাদ্দ হয়েছে। ইতিমধ্যে ফাজেলখারডাঙ্গীতে ৫ হাজার ১৩টি জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হয়েছে। বালিয়াডাঙ্গীতেও বালুর বস্তা ফেলা হবে। এখানে পাঁচ হাজার বস্তা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।”

Link copied!