পদ্মা সেতু উদ্বোধন করা হয় শনিবার (২৫ জুন)। সেদিন থেকে সেতু এলাকায় মানুষের চলাচল বেড়ে যায়। নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও প্রথম দিন মানুষ উঠে পড়ে সেতুতে। গত দুই দিন সেখানে টিকটক, ছবি ও সেলফি তোলা এবং সড়ক দুর্ঘটনাও ঘটেছে। এসব কারণে সোমবার (২৭ জুন) সেতুর ওপর টহলে নামে সেনাবাহিনী।
রোববার (২৬ জুন) সন্ধ্যায় পদ্মা সেতুতে ঘুরতে গিয়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হন মো. আলমগীর হোসেন (২৫) ও মো. ফজলু (২৫)। তারা ঢাকার দোহার–নবাবগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা। একই দিন বাইজীদ ও তার বন্ধু কায়সার প্রাইভেটকারে সেতুতে যান। বাইজীদ গাড়ি চালাচ্ছিলেন। জাজিরা প্রান্তের ৩০-৩৫ নম্বর পিলারের মধ্যে নেমে তিনি ও তার বন্ধু কায়সার রেলিংয়ের নাট-বল্টু খুলে ফেলে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করেন। পরে বাইজীদ ও কায়সার দুটি ভিডিও নিজেদের টিকটক অ্যাকাউন্টে আপলোড করেন। উদ্বোধনের দিন আনন্দে দিশেহারা হয়ে পড়েন উপস্থিত জনতা। তারা পদ্মার বেষ্টনি টপকে সেতুতে উঠে পড়েন, হেঁটে সেতুতে ঘুরে বেড়াতে থাকেন। এসব কারণে সোমবার থেকে অতিরিক্ত কড়াকড়ি আরোপ করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
সরেজমিনে দেখা যায়, রোববার ও সোমবারের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। সোমবার সকাল থেকে সেতুতে মোটরসাইকেল প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। হেঁটে মানুষ যাওয়ার কোনো প্রশ্নই নেই। কেউ যেন অনিয়ম না করে সেজন্য নিয়মিত টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী। মানুষজনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে উপস্থিত হচ্ছে সেনাবাহিনীর টহল গাড়ি।