নোয়াখালীতে ১৪৪ ধারা ভেঙে মিছিল, পুলিশের লাঠিচার্জ


নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৬, ২০২১, ১২:৩১ পিএম

জেলা আওয়ামী লীগের বিবদমান তিন পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নোয়াখালী পৌর এলাকায় প্রশাসনের জারি করা সোমবার ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল করেছে আওয়ামী লীগের এক পক্ষ।

এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে দুইজনকে গাড়িতে তুলে নিয়ে গেলে তাদের এখনও আটক দেখায়নি পুলিশ। এমন পরিস্থিতিতে শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। 

সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয় এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর কয়েকজন সমর্থক একটি মিছিল নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে পৌঁছলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে।

জানা গেছে, জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়, টাউন হল মোড় ও পৌরসভা ভবন সম্মুখে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। শহরের বিভিন্ন সড়ক ও মোড়ে মোড়ে পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাবের টহল রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয় সাংসদের ২০-২৫ জন কর্মী একটি মিছিল নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে আসলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। এসময় নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাক্কাধাক্কির এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। লাঠিচার্জে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয় বলে জানা গেছে। এছাড়া এমপির সমর্থকরা শহরের বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্ন ভাবে মিছিল করেছে। 

জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) দীপক জ্যোতি খিসা জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে প্রশাসন। 

প্রসঙ্গত, সোমবার সকাল ১০টায় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে নোয়াখালী ৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী ও টাউন হল মোড়ে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শিহাব উদ্দিন শাহিন কর্তৃক সমাবেশ ও জনসভা করার ঘোষণা দেন। একই সময় পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নোয়াখালী পৌরসভা চত্বরে কর্মী সমাবেশের ঘোষণা দেন পৌর মেয়র শহিদ উল্লাহ খান সোহেল। এই পরিস্থিতিতে পৌর এলাকায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রোববার সন্ধ্যায় ১৪৪ ধারা জারির ঘোষণা দেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান। 

এর আগে রোববার টাউন হল মোড়সহ শহরের বিভিন্ন স্থানে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় জড়িয়ে পড়েন আওয়ামী লীগের তিন পক্ষের নেতাকর্মীরা। এসময় কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৯ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।

 

 

Link copied!