ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার হাজরাকান্দি এলাকায় ধর্ষণের শিকার এক স্কুলছাত্রী কীটনাশক পানে আত্মহত্যা করেছে। অভিযোগ উঠেছে, ওই এলাকার রাব্বিসহ তিন যুবক তাকে পাশবিক নির্যাতন চালায়। এ ঘটনায় ক্ষোভে কীটনাশক পান করে সে।
মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়ারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সোমবার (২৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ওই কিশোরী।
নিহত কিশোরীর মামা রবিউল ইসলাম বলেন, “২৪ তারিখ রাত ১২টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাইরে বের হয় আমার ভাগ্নি। এ সময় রাব্বিসহ তিন যুবক তাকে মুখ চেপে বাইরে নিয়ে যায়। পরে রাব্বি তাকে পাশবিক নির্যাতন চালায়। অন্য দুজন এই কাজে তাকে সহযোগিতা করে। বিষয়টি জানাজানি হলে আমার ভাগ্নি ঘরে থাকা কীটনাশক পান করে। অচেতন অবস্থায় প্রথমে তাকে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার বেলা ১১টার দিকে আমার ভাগ্নি মারা যায়।”
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়ারুল ইসলাম বলেন, “এ ব্যাপারে নিহত স্কুলছাত্রীর মামা আমাকে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন। এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”