রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় ইন্টারনেটের ধীরগতি। এ কারণে ঈদের ছুটি শেষে কর্মক্ষেত্রে ফেরা মানুষের খবর জানাতে বিপাকে পড়তে হয়েছে ইলেকট্রনিক ও অনলাইনের সংবাদকর্মীদের।
শনিবার (৭ মে) সকাল থেকে একাধিক ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সংবাদকর্মীদের নিজ নিজ অফিসের সঙ্গে সংযোগ বিছিন্ন হয়েছে ধীরগতির ইন্টারনেটের জন্য। ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীদের সরাসরি সংবাদ পরিবেশনে বেশ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।
ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি শামীম রেজা বলেন, “সকাল থেকে আমার প্রতি ঘণ্টায় লাইভ ছিল। সকালের প্রথম লাইভটা ঠিকঠাক করতে পারলেও পরের লাইভগুলোতে ইন্টারনেট সংযোগ না পাওয়ার কারণে সম্প্রচারে সমস্যা হয়েছে।”
যমুনা টেলিভিশনের সাংবাদিক রুবেলুর রহমনা বলেন, “সকালে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে বেশ কিছুটা দূরে লাইভ দিয়েছি, তখন ভালো ইন্টারনেট পেয়েছিলাম। তবে ঘাট এলাকায় এসে যখন লাইভ দিতে গেলাম, তখন ইন্টারনেটের ধীরগতির জন্য ২-৩ বার সংযোগ বিছিন্ন হয়ে যায়।”
নিউজ টোয়েন্টি ফোরের জেলা প্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম শামীম বলেন, “ইন্টারনেটের ধীরগতির জন্য অফিসে নিউজ পাঠাতে যেমন সমস্যা হচ্ছে, তেমনি লাইভেও সমস্যা হচ্ছে। ফুটেজ, ভক্সপপ ও সিংক পাঠাতে সময় লাগছে। আমাদের একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সব পাঠাতে হয়। একটু দেরি হয়ে গেলেই দেখা যায়, আমাদের শ্রমটা বৃথা।”
নিউজবাংলা টোয়েন্টি ফোরে ডটকমের জেলা প্রতিনিধি রবিউল আওয়ালও তাদের সঙ্গে একমত প্রকাশ করেছেন।
গণমাধ্যমকর্মীরা একটি বিষয়ে একমত পোষণ করে বলেন, “সাধারণত ঘাট এলাকায় ইন্টারনেটের কোনো সমস্যা ছিল না। হয়তো অতিরিক্ত যাত্রী ঘাট এলাকায় থাকার জন্য ইন্টারনেটের গতি কম রয়েছে। সবার হাতেই এখন স্মার্টফোন রয়েছে। সবাই এখন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী। হয়তো এই কারণেই ইন্টারনেটের বিভ্রাট রয়েছে।”