শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে কথাসাহিত্যিক অরুণ কুমার বিশ্বাস তার বাড়ির আঙিনায় নিজের লেখা ১৩০টি বই নিয় বইমেলার আয়োজন করেছেন। তার এই বইমেলার আয়াজনে দুর্গাপূজার আনন্দ যেন হিন্দুধর্মালম্বীদের আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
সোমবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার রামশীল ইউনিয়নের জহর কান্দি গ্রামে নিজ বাড়ির আঙিনায় এ বইমেলার উদ্বোধন করা হয়।
অরুণের বাবা অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক বঙ্কিম চন্দ্র বিশ্বাস ফিতা কেটে এ বইমেলার উদ্বোধন করেন। তিন দিনব্যাপী এ বইমেলা চলবে আগামী বুধবার (৫ অক্টোবর) পর্যন্ত।
মেলায় অরুণের লেখা উল্লেখযোগ্য- মুক্তিপণ, স্পাই, আলিম বগার খুলি, গুপ্তি, কাটামুন্ডুর বিভীষিকা, পাড়াবাড়ির রহস্য, যে ভাব জয়ী হত হয়, পিকিংমানব রহস্য, জললিপি, লাল কুটি রহস্য, অতঃপর এলা প্রম, ক্যামডন কিলারসহ প্রায় ১৩০টি বই রয়েছে।
উদ্বোধনের সময় বিশিষ্ট নাট্যকার আকাশ রঞ্জন, জ্ঞানের আলো পাঠাগারের সভাপতি সুশান্ত মণ্ডল, সমাজসেবক পরিমল রায়সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে জনপ্রিয় এই লেখকের অলাকর রয় গায়দা সিরিজ ‘গুপ্তি’ বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
বিশিষ্ট নাট্যকার আকাশ রঞ্জন বলেন, “বর্তমান সময় যে কয়েকজন লেখক রয়েছে তাদের মধ্যে অরুণ কুমার বিশ্বাস অন্যতম। তার লেখা মুক্তিপণ, স্পাই, আলিম বগার খুলি, গুপ্তি, কাটামুন্ডুর বিভীষিকা, পাড়াবাড়ির রহস্য, যে ভাব জয়ী হত হয়, পিকিংমানব রহস্য, জললিপি, লাল কুটি রহস্য, অতঃপর এলা প্রম, ক্যামডন কিলারসহ প্রায় ৫০টি বই আমি পড়ছি। তার লেখার গুণগত মান খুবই ভালো।
জ্ঞানের আলো পাঠাগারের সভাপতি সুশান্ত মণ্ডল বলেন, “জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক অরুণ কুমার বিশ্বাস গ্রামীণ পরিবেশে যে বইমেলার আয়োজন করেছে, তা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। তার এই বইমেলার মধ্য দিয়ে এলাকায় পাঠক সৃষ্টি হবে বলে আমি মনে করি। তার লখা বইগুলার মধ্য ১২০টি আমাদর পাঠাগার রয়েছে।”
সমাজসেবক পরিমল রায় বলেন, “কথাসাহিত্যিক অরুণ কুমার বিশ্বাসের এই বইমেলা আমাদের পূজার আনন্দ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। আমরা চাইব আগামীতেও যেন তিনি এ ধরনের বইমেলার আয়োজন করেন।”
লেখক অরুণ কুমার বিশ্বাস বলেন, “গ্রামীণ এলাকার পাঠক সৃষ্টির লক্ষ্য নিয়ে আমি এই মেলার আয়োজন করেছি। আগামীতে বড় পরিসর এই জনপথ বইমেলার আয়োজন করার ইচ্ছা রয়েছে।”