• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তৃতীয় বিয়ের অনুমতি না পেয়ে শিক্ষকের লঙ্কাকাণ্ড


পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ২২, ২০২১, ১১:০৭ এএম
তৃতীয় বিয়ের অনুমতি না পেয়ে শিক্ষকের লঙ্কাকাণ্ড

তৃতীয় বিয়ের অনুমতি নিতে প্রথম স্ত্রী ও তার আত্মীয় স্বজনের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়ে রক্তাক্ত যখম করেছে পাবনা জিসিআই স্কুলের শরীর চর্চার শিক্ষক ইসমাইল হোসেন খান (৪৩)। তিনি জেলার আটঘরিয়া উপজেলার মাজপাড়া গ্রামের আশরাফ আলী খানের ছেলে।

ইসমাইল হোসেনের প্রথম স্ত্রী পাবনার মাহমুদপুর মাদ্রাসার শিক্ষক হোসনে আরা খাতুন জানান, ২০০০ সালে পরিবারের সম্মতিক্রমে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই ইসমাইল হোসেন নানা অজুহাতে তার ওপর অত্যাচার করতে থাকেন। অত্যাচার সহ্য করেই সংসার করতে থাকেন হোসনে আরা খাতুন। ২০০৪ সালে তাদের ঘরে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়।

হোসনে আরা খাতুন জানান, এর মধ্যে বিভিন্ন সময় ইসমাইল হোসেন বিভিন্ন মেয়েদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং একটি মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যান। ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকা ছাড়েন ইসমাইল। বেশ কিছু দিন গা-ঢাকা দিয়ে থেকে ২০১২ সালের ৫ মে রেহানা আক্তার পলি নামের এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকাকে বিয়ে করেন। সেখানে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়।

এলাকাবাসী জানান, দ্বিতীয় স্ত্রী রেহানা আক্তার পলির ওপর অত্যাচার শুরু করলে ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে সংসার ভেঙে যায়। বর্তমানে তৃতীয় বিয়ের স্বপ্নে বিভোর ইসমাইল হোসেন। তিনি আরেকটি বিয়ের জন্য সব ঠিকঠাক করে ফেলেন কিন্তু বিয়ের দিন প্রথম স্ত্রীর অনুমতি না থাকায় বিয়ে ভেঙে দেন কন্যাপক্ষের অভিভাকরা। এ নিয়ে চরম ক্ষিপ্ত ইসমাইল হোসেন প্রথম স্ত্রী হোসনে আরাকে দোষারোপ করেন এবং আবারও শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন শুরু করেন।

বর্তমানে প্রাণ নাশের হুমকির মধ্যে একমাত্র মেয়েকে নিয়ে সঠিক বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন হোসনে আরা খাতুন।

স্বদেশ বিভাগের আরো খবর

Link copied!