• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্য অধিকার আইন মানতে রাজি নন জেলা কৃষি কর্মকর্তা


লালমনিরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ১৯, ২০২২, ০৪:৪৯ পিএম
তথ্য অধিকার আইন মানতে রাজি নন জেলা কৃষি কর্মকর্তা

লালমনিরহাট জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম তথ্য অধিকার আইন মানতে রাজি নন। ওই আইনের মাধ্যম্যে তথ্য চাওয়ায় দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি জে আই সমাপ্তকে ভয়-ভীতি ও মামলা দিয়ে হয়রানি করার হুমকি দিয়েছেন।

এ ঘটনায় সোমবার (১৮ জুলাই) রাতে জিডি করেছেন সাংবাদিক সমাপ্ত।

জানা যায়, তথ্য অধিকার আইনের নীতিমালা মেনে ১৮ মে জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা আব্দুর রহিমের কাছে তথ্য চেয়ে আবেদন করেন সাংবাদিক জে আই সমাপ্ত। কিন্তু আইন মানতে রাজি নন রহিম। তাই তিনি যথা সময়ে তথ্য প্রদান করেননি। পরে বিষয়টি নিয়ে ২১ জুন জেলা প্রশাসক ও সভাপতি, তথ্য অধিকার বাস্তবায়নে অবেক্ষণ (সুপারভিশন) ও পরিবীক্ষণ জেলা কমিটির কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এছাড়া ২২ জুন তথ্য অধিকার আইনের নীতিমালা অনুযায়ী রংপুর কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের উপপরিচালক আনোয়ারুল হকের কাছে তথ্যের জন্য আপিল করেন সমাপ্ত। ওই আপিলের প্রেক্ষিতে ১৪ জুলাই (বৃহস্পতিবার) রংপুর কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের উপপরিচালক আনোয়ারুল হকের স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তাকে তথ্য সরবরাহের জন্য বলা হয়।

ওই চিঠির প্রেক্ষিতে রহিমের মোবাইলে কল করে তথ্যের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি অশোভনীয় ভাষায় কথা বলেন। এক পর্যায়ে রহিম বলেন, “তথ্য নিতে অফিসে আয়, তোর তথ্যটা বের করি। আমি লালমনিরহাটের লোক, দেখ তোর অবস্থা কি করি, তোর রিপোর্টার গিরি দেখাব। তোর নামে মামলা করব।”

পরে এ ঘটনায় সোমবার রাতে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি জিডি করেন সমাপ্ত।

এ ব্যাপারে সমাপ্ত বলেন, “রংপুর কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের উপপরিচালক আনোয়ারুল হকের স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে আমাকে তথ্য সরবরাহের জন্য জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই চিঠির প্রেক্ষিতে তথ্য চাইলে আমাকে নানা রকম ভয়-ভীতি ও মামলার হুমকি প্রদান করেন কৃষি বিপণন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম। আমি এখন মনে করছি, যেকোনো সময়, যেকোনো ধরনের ক্ষতি তার মাধ্যমে আমার হতে পারে। তাই থানায় জিডি করেছি।”

জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বলেন, “সাংবাদিক সমাপ্ত আমার ডিডি স্যারের কাছে অভিযোগ করায় আমার মাথা ঠিক ছিল না, তাই কিছু কথা তাকে বলে ফেলেছি।”

লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম জানান, জিডির কপি পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্বদেশ বিভাগের আরো খবর

Link copied!