গৃহবধূকে ধর্ষণে অভিযুক্ত বগুড়া সোনাতলা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুজন কুমার ঘোষকে এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে, থানায় মামলা করায় অভিযুক্ত সুজনের পরিবার থেকে ধর্ষিতার পরিবারকে ভয়ভীতি এবং হুমকি প্রদান করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ধর্ষিতার স্বামী।
অন্যদিকে এ ঘটনায় বুধবার (১০ আগস্ট) সুজনকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় সোনাতলা উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, সংগঠনের নীতি-আদর্শ ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকায় সুজন কুমার ঘোষকে (সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, সোনাতলা উপজেলা শাখা, বগুড়া) বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হলো এবং সেই সঙ্গে মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় সোনাতলা উপজেলা শাখা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলো।
সোনাতলা থানার এসআই ইয়ামিন আলী জানান, মামলার পর থেকেই সুজনকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। তবে সে পলাতক থাকায় তাকে এখনও গ্রেপ্তার করা যায়নি। পুলিশ এবং ডিবি পুলিশের যৌথ অভিযান অব্যাহত আছে।
এর আগে, মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) বিকেলে ছাত্রলীগ নেতা সুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে এক গৃহবধূ মামলা করেন। তার স্বামী বগুড়া শহরের এক তেলের ডিপোতে শ্রমিকের কাজ করেন।
সুজন উপজেলার নামাজখালী গ্রামের সুভাষ ঘোষের ছেলে। মা সন্ধ্যা রানী সোনাতলা সদর ইউনিয়নের সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য।