বগুড়ার মহাস্থানে বাড়ছে পর্যটক। আর এই তীব্র তাপদাহে জনজীবন ও পর্যটকরা অতিষ্ট। এরই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে লোডশেডিং। প্রচণ্ড গরমে একটু শীতল বাতাস পেতে কার না ভালো লাগে। বিশেষ করে লোডশেডিংয়ের সময়। তাইতো গরমের দিনে একটু স্বস্তি পেতে বিদ্যুৎ নির্ভরশীল এলাকার মানুষের কাছেও এখন হাতপাতার পাখার কদর বেড়ে চলেছে।
ফাল্গুন থেকে ভাদ্র এই সাত মাস আমাদের দেশে অধিক গরম অনুভূত হয়। কিন্তু এবার আষাঢ় মাস থেকেই তীব্র গরম পড়েছে। প্রচণ্ড গরমে স্নিগ্ধ শীতল বাতাসের পরশ পেতে বগুড়ার মহাস্থানে দূরদূরান্ত থেকে আসা পর্যটকরা কিনছেন হাত পাখা। এছাড়া স্থানীয়রাও এলাকার বিভিন্ন বাজার থেকে হাতপাখা কিনছেন।
শনিবার (১৬ জুলাই) সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় পঞ্চগড় থেকে মহাস্থানে ঘুরতে আসা মিনারা বেগমের সঙ্গে। তিনি বলেন, “স্ব-পরিবারে মহাস্থানে ঘুরতে এসে তীব্র গরমে হাতপাখা কিনেছি। আমাদের মতো অনেকেই গরম থেকে বাঁচতে হাতপাখা কিনছেন।”
হাতপাখা ব্যবসায়িরা বলছেন, বগুড়ার টেংড়া, দুপচাঁচিয়া, গোবিন্দগঞ্জের ফাসিতলা ও কুমিল্লা থেকে ৭-১৫ টাকা দরে তাল পাখা কিনে আনেন। পরে সেগুলো মহাস্থানে বিক্রি করেন। তাল গাছ কমে যাওয়ায় এবং কাঁচামালের যোগান না থাকায় পর্যাপ্ত হাতপাখা তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না।
মহাস্থানের হাত পাখা বিক্রেতা নাছির প্রামাণিক বলেন, “বর্তমান প্রতিটি তালপাখা, সূতার পাখা ও কাপড়ের গড়ে ১৫-৩০ টাকা করে বিক্রি করি। গরম মৌসুমে গড়ে দৈনিক ৫০-৩০০টি হাতপাখা বিক্রি হয়। সেই হিসেবে দৈনিক সাত হাজার টাকার হাতপাখা বিক্রি করি।”
মহাস্থানগড়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (কাস্টডিয়ান) রাজিয়া সুলতান বলেন, “মহাস্থানগড়ে দৈনিক গড়ে ৩৫০-৫০০ পর্যটক ঘুরতে আসেন। তাদের মধ্যে অনেকেই তীব্র গরমে হাতপাখা কিনছেন।”