কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (কুমেক) নাইট্রাস অক্সাইড গ্যাসের তীব্র সংকটের কারণে অস্ত্রোপচার ব্যাহত হচ্ছে। গ্যাস সংকটের কারণে অস্ত্রোপচার না করেই রোগীকে ফিরিয়ে দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। এতে সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। করোনার প্রভাবে এ সংকট সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, স্পেকট্রা অক্সিজেন লিমিটেড কুমিল্লা মেডিকেলে অক্সিজেন ও নাইট্রাস অক্সাইড সরবরাহ করে আসছিল। তিন মাস ধরে স্পেকট্রা নিয়মিতভাবে নাইট্রাস অক্সাইড গ্যাস সরবরাহ করছে না। হাসপাতালটিতে প্রতি মাসে অন্তত ৩০ কেজির ২৫টি নাইট্রাস অক্সাইড গ্যাসের সিলিন্ডার লাগে। সে ক্ষেত্রে গত দুই মাসে সরবরাহ করা হয় মাত্র ৮টি সিলিন্ডার, যা প্রয়োজনের তুলনা অপ্রতুল।
এতে করে হাসপাতালে প্রায়ই অস্ত্রোপচার কমে গেছে। অনেক সময় নাইট্রাস অক্সাইড ছাড়াই অস্ত্রোপচার করছেন চিকিৎসকরা। তবে কুমিল্লায় বেসরকারি কোনো হাসপাতালে নাইট্রাস অক্সাইডের স্বল্পতা নেই বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে স্পেকট্রা অক্সিজেন লিমিটেডের কুমিল্লা ডিপোর ডিস্ট্রিবিউশন কর্মকর্তা মো. তাওহিদুর রহমান বলেন, করোনাকালে বিদেশ থেকে কাঁচামাল আনতে না পারায় চাহিদামতো সরবরাহ করা যায়নি। তারপরও আমরা চেষ্টা করছি তাদের সাপোর্ট দেওয়ার জন্য। জুলাই মাসে ২টি এবং চলতি মাসে (আগস্ট) মাসে ৬টি দিয়েছি। আশা করছি ২-১ দিনের মধ্যে এ সংকট আর থাকবে না।
নাম প্রকাশ না কারার শর্তে কুমেকের এক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জানান, নাইট্রাস অক্সাইড গ্যাস সরবরাহে অনিয়ম দীর্ঘদিনের, যার কারণে অনেক জরুরি অস্ত্রোপচার করা যাচ্ছে না। ফলে চিকিৎসকদের বদনামের ভাগ নিতে হচ্ছে। দ্রুত এ সমস্যা সমাধান না করতে পারলে হাসপাতালের সুনামসহ রোগীদের প্রতি অন্যায় করা হবে বলে তিনি জানান।
কুমেকের পরিচালক মো. মহিউদ্দিন গ্যাস সংকটের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার কারণে এটি হয়েছে। আশা করছি চলতি সপ্তাহের মধ্যে নাইট্রাস অক্সাইডের সংকট থাকবে না।