নীলফামারী সদর উপজেলায় কালবৈশাখীর তাণ্ডবে শতাধিক ঘরবাড়ি ও গাছপালা ভেঙে পড়েছে। ঝড়ে শত শত হেক্টর ফসলের ক্ষতি হয়েছে। বুধবার (১৮ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে শুরু হওয়া কালবৈশাখী থেমে থেমে বয়ে যায়।
এলাকাবাসী জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে কালবৈশাখী শুরু হয়। ঝড়ের তাণ্ডবে বহু ঘরবাড়ির টিনের চাল উড়ে গেছে। আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে বেশ কয়েকজনের। ঘরবাড়ি হারিয়ে অনেকেই স্থান নিয়েছেন খোলা আকাশের নিচে। শত শত হেক্টর জমির ভুট্টা, বোরো ধান মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। আম ও লিচুর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
জেলায় রাত থেকেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
টুপামারী ইউনিয়নের সুখধন গ্রামের কৃষক আব্দুর রাজ্জাক জানান, ঝোড়ো হাওয়ায় এলাকার ধানক্ষেত বসে গেছে। উপড়ে পড়েছে গাছপালা এবং ভেঙে পড়েছে ঘরবাড়ি।
ইটাখোলা ইউনিয়নের হাতিবান্ধা এলাকার কৃষক শফিকুল ইসলাম একই কথা বলেছেন।
ঝড়ে চারটি ঘরের চালা উড়ে গেছে উল্লেখ করে শফিকুল বলেন, “ছেলমেয়েকে নিয়ে অনেক কষ্টে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটিয়েছি।”
টুপামারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়্যারম্যান মছিরত আলী শাহ ফকির বলেন, “ইউনিয়নের কয়েকটি ওয়ার্ডে ক্ষয়ক্ষতির খবর পেয়েছি। এ ছাড়া ফসলের ক্ষতি হয়েছে। বহু লোকের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।”