• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

এসএসসি পরীক্ষা: ২০ মিনিট পরে খাতা দেওয়ার অভিযোগ


বগুড়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২২, ০৯:৩০ এএম
এসএসসি পরীক্ষা: ২০ মিনিট পরে খাতা দেওয়ার অভিযোগ

বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষার বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষায় ২০ মিনিট পরে খাতা ও প্রশ্নপত্র দেওয়া অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় জেলার শেরপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজের ১১৫ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, উপজেলার সাতটি কেন্দ্রের একটি হলো শেরপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ। কেন্দ্রের ১১৫ নম্বর কক্ষে পল্লী উন্নয়ন একাডেমি ল্যাব: স্কুল অ্যান্ড কলেজের ১৩, সামিট এন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ১৩, তাঁতড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ১২ ও জাবাল-ই-রহমত আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ১২ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। ওই কক্ষে দায়িত্বপ্রাপ্ত কক্ষপরিদর্শক হিসেবে ছিলেন পেঁচুল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খন্দকার মতিউর রহমান ও শফিকুল ইসলাম। পরীক্ষার্থীদের নির্ধারিত সময়ের ২০ মিনিট পর খাতা ও প্রশ্নপত্র দেন শিক্ষকরা। ফলে তারা দায়িত্বরত স্যারকে এই সময় পরে দিতে বলে। কিন্তু সময় শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অন্য রুমের খাতা নেওয়া দেখে তাদেরও খাতা নিয়ে নেওয়া হয়। আগের দেরি হওয়া ২০ মিনিট সময় আর দেওয়া হয়নি। এতে করে শিক্ষার্থীরা সম্পূর্ণ উত্তর দিতে না পেরে কান্নায় ভেঙে পড়ে।

পল্লী উন্নয়ন একাডেমি ল্যাব: স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী মাসুনুর সাঈক, জিহাদ, নাভীন, নাজিফ, সিজান, সানজিদ ও সামিট এন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী ইউসুফ, মানাজিল, তাহসিনসহ অনেক শিক্ষার্থীরা কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, “২০ মিনিট সময় কম পাওয়াতে আমরা ১৫ থেকে ২০ নম্বরের উত্তর দিতে পারিনি। আমাদের আর ‘এ প্লাস’ পাওয়ার আশা নেই। আমাদের স্বপ্নকে ভেঙে দিল। আমাদের ওপরের ওঠার সিঁড়িকে ভেঙে চুরমার করে দিল আজ। কী দোষ ছিল আমাদের।”

শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা বলেন, “আমাদের ছেলে-মেয়ে কক্ষে দায়িত্বপ্রাপ্ত কক্ষপরিদর্শকের কাছে কী অপরাধ করেছে। তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার করে দিল এই দুজন শিক্ষক। বর্তমানে রেজাল্টের ওপর বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স, কিন্তু ২০ নম্বর উত্তরই দিতে পারেনি। রেজাল্ট ভালো হবে কীভাবে। তাই অতিদ্রুত এই দুইজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। শেরপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজের পিওন ফরহাদ কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হুমকিও দিয়েছেন।”

এ বিষয়ে পিওন ফরহাদ বলেন, “আমি কোনো পরীক্ষার্থীকে হুমকি দেয়নি। তাদের পরবর্তী পরীক্ষা ভালো দেওয়ার কথা বলেছি।”

দায়িত্বপ্রাপ্ত কক্ষপরিদর্শক খন্দকার মতিউর রহমান বলেন, “১৫ মিনিট সময় দেরি হয়েছিল খাতা ও প্রশ্নপত্র দিতে, পরে তা সমন্বয় করে নেওয়া হয়েছে।”

এবিষয়ে কেন্দ্র সচিব সাইফুল ইসলাম জানান, সময়মত খাতা ও প্রশ্নপত্র দেওয়া এবং নেওয়া হয়েছে। এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।

এ ব্যাপারে শিক্ষা অফিসার নজমুল হক বলেন, “এ বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে এমন হলে দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

স্বদেশ বিভাগের আরো খবর

Link copied!