• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইমামকে বের করে দিয়ে মসজিদে বেড়া


মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: এপ্রিল ২, ২০২২, ০৭:২৩ পিএম
ইমামকে বের করে দিয়ে মসজিদে বেড়া
বেড়া দিয়ে বন্ধ করে রাখা মসজিদটি

মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় মসজিদ থেকে ইমামকে বের করে দিয়ে চারপাশে বেড়া দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। গত ২০ বছর ওই মসজিদে এলাকার লোকজন নামাজ পড়লেও বেড়া দেওয়ায় কারণে তা এখন বন্ধ রয়েছে।

শনিবার (২ এপ্রিল) ভোরে উপজেলার জয়মন্টপ ইউনিয়নের পূর্ব ভাকুম জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে।

সরেজমিন গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ১৮-২০ বছর আগে ঢাকার কারওয়ান বাজার এলাকার ব্যবসায়ী আফজাল হোসেন সাড়ে ১৫ শতাংশ জমি ওই মসজিদের নামে ওয়াকফ করে দেন। তারপর থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা চৌচালা টিনের ঘর তুলে নামাজ আদায় করে আসছিলেন। শনিবার ভোরে ওই জমির মালিকানা দাবি করে স্থানীয় মৃত কাশী সিকদারের ছেলে মোতালেব সিকদার, শফি শিকদার, মগর সিকদার, আব্দুল্লাহ সিকদার ও সমেজ সিকদার। এ সময় তারাসহ ১০-১২ জন লোক দেশিয় অস্ত্র নিয়ে মসজিদের ইমাম মাওলানা সিফাতকে বের করে দেন। এরপর মসজিদের চারপাশে বাঁশের বেড়া দিয়ে মুসুল্লিদের প্রবেশ নিষেধ করে দেয়। সেই সঙ্গে ভেঙে ফেলা হয় ওযুর কাজে ব্যবহৃত মসজিদের টিউবওয়েলটিও।

এ ঘটনার পর থেকে আশপাশের লোকজনের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। মসজিদটিতে নামাজ আদায়ও বন্ধ রয়েছে। এলাকাবাসী পবিত্র রমজানের তারাবির নামাজ আদায় নিয়েও রয়েছেন উৎকন্ঠায়। এ সময় স্থানীয়রা বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধানে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইলিয়াস হোসেন বলেন, “দখলদাররা ইতিপূর্বে মসজিদের জায়গাটি কখনো নিজেদের দাবি করেননি। হঠাৎ মসজিদের চারপাশে বেড়া দিয়ে মুসুল্লিদের নামাজ আদায় বন্ধ করা দেওয়া জঘন্য কাজ।

পূর্ব ভাকুম জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. পিয়ার আলী বলেন, “দখলদারদের ভয়ে এখন আতংকে আছি। প্রশাসনের মাধ্যমে আমরা এর সুষ্ঠু সমাধান চাই।”

এ বিষয়ে অভিযুক্ত সফি সিকদার বলেন, “১৫-২০ বছর আগে আমাদের জায়গায় জোর করে মসজিদ তোলা হয়েছিল। জমির জরিপ কাজ শুরু হওয়ায় এখন আমরা বেড়া দিয়েছি।”

জয়মন্টপ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. শাহাদৎ হোসেন বলেন, “বিষয়টি আমি শুনে দখলদারদের ফোন দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা আমার কথা রাখেননি।”

এ ব্যাপারে সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম মোল্যা বলেন, “এ বিষয় নিয়ে আমার কাছে কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেননি। তারপরও আমি পুলিশ পাঠিয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছি।”

স্বদেশ বিভাগের আরো খবর

Link copied!