এবার অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
এদিকে আজ থেকে শুরু হয়েছে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে সাশ্রয়ী দামে দেশের এক কোটি নিম্ন আয়ের পরিবারের কাছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য বিক্রি। রংপুরেও টিসিবির এই পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে।
রোববার (২০ মার্চ) বেলা ১২টায় নিজ সংসদীয় আসন রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে টিসিবির পণ্য বিক্রয় উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে মানুষ যাতে সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্য পণ্য পায় এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভর্তুকি দিয়েও মানুষকে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য সহায়তা দিচ্ছে। তাই মানুষের এসব পণ্য নিয়ে কোন অসাধু ব্যবসায়ীরা যদি খাদ্য মজুদসহ কোনোরূপ কারসাজি করে, তবে তাকে সর্বোচ্চ শাস্তি পেতে হবে।”
এজন্য জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
মন্ত্রী আরও বলেন, “প্রথম কিস্তিতে আজ (রোববার) থেকে সারা দেশে একযোগে আগামী ৩০ মার্চ পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় কিস্তিতে ৩ এপ্রিল থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত এ পণ্য বিক্রি করবে টিসিবি। সুশৃঙ্খলভাবে পণ্য বিক্রির জন্য দেশব্যাপী তালিকা তৈরি করে বিশেষ ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ ট্রাক সেলের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে। জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় স্থানীয় জনসংখ্যা, দারিদ্র্যের সূচক বিবেচনায় নিয়ে এ তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এতে প্রায় ৫ কোটি মানুষ উপকৃত হবেন। বিতরণের আগের দিন ফ্যামিলি কার্ড সুবিধাভোগীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। সে সময় কার্ড হোল্ডারদের পণ্য বিক্রয়ের স্থান ও সময় জানিয়ে দেয়া হয়েছিল। সে অনুযায়ী নির্ধারিত স্থানে একযোগে আজ থেকে পণ্য বিক্রয় শুরু হয়েছে।”
টিপু মুনশি আরও বলেন, “প্রত্যেক পরিবারকে ২ লিটার সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১১০ টাকা দরে, ২ কেজি চিনি ৫৫ টাকা দরে, ২ কেজি মসুর ডাল ৬৫ টাকা দরে এবং ২ কেজি ছোলা ৫০ টাকা দরে দেওয়া হচ্ছে।”
এছাড়া বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রংপুর জেলা প্রশাসক আসিফ আহসান বলেন, “রংপুর সিটি করপোরেশন এলাকা, ৩টি পৌরসভা ও ৮টি উপজেলার মোট ২ লাখ ৮৩ হাজার ৩১২ পরিবার উপকারভোগীর তালিকায় থাকছে। এর মধ্যে করোনাকালীন উপকারভোগীর সংখ্যা ৯৮ হাজার এবং ১ লাখ ৮৫ হাজার ৩১২ জন নতুন। এসব এলাকায় ১৩৫ জন ডিলারের মাধ্যমে ২২২টি কেন্দ্রে এসব পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম চলবে।”
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কাউনিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম মায়া, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা তারিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও শহীদবাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান, বালাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনছার আলীসহ অন্যান্য নেতারা।