মাঘ মাসের শীতের প্রকোপের মধ্যে অসময়ে টানা বৃষ্টিতে বগুড়ায় আলু ও সরিষা ক্ষেতে পানি জমে যাওয়ায় ফসল নষ্টের দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।
শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ভোর থেকে শুরু করে শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পর্যন্ত বগুড়া জেলার বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়েছে।
অসময়ের বৃষ্টিতে দুশ্চিন্তায় কৃষক ও জনজীবন, বিপর্যস্ত ও স্থবির হয়ে পড়েছে এই অঞ্চলের মানুষ।
শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে সরেজমিন দেখা যায়, ঠান্ডার মধ্যেই কৃষকরা আলু ক্ষেতের পানি বের করে দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সব আলু ক্ষেতেই পানি জমে আছে। একই অবস্থা সরিষা ক্ষেতেরও।
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার কেল্লাপোর্শি গ্রামের আমজাদ হোসেন সকাল থেকেই ক্ষেতের পানি সরাতে কাজ করছেন।
আমজাদ হোসেন বলেন, “দুই বিঘা জমিতে আলু চাষ করছি। আর কয়েকদিন গেলেই আলু তোলা যাবে। হঠাৎ বৃষ্টির কারণে জমিতে পানি জমে গেছে। এই পানি যদি চার-পাঁচদিন জমে থাকে তা হলে আলু পচে যাবে। কী করে পানি বের করে দিব তাই নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।”
মকবুল হোসেন নামের আরেক কৃষক বলেন, “বোরো ধান রোপণের জন্য বীজতলা তৈরি করেছি। কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টির কারণে বীজতলা ডুবে গেছে। তাই পানি বালতি দিয়ে তুলে ফেলছি। না হলে বীজতলা নষ্ট হয়ে যাবে।”
অসময়ের এই বৃষ্টিতে আলু ও বোরোর বীজতলার প্রচুর ক্ষতি হবে বলে ধারণা করছেন তিনি।
শেরপুর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কৃষি অফিসার মোছা. জান্নাতুল ফেরদৌস আরা বলেন, “বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়। শনিবার সকাল পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির কারণে আলু ও সরিষার ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে যেসব আলু গোদামজাত করার পর্যায়ে এসেছে, সেগুলোর সমস্যা হবে। তবে আমাদের কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে গিয়ে আলু চাষীদের পানি বের করে দেওয়ার জন্য পরামর্শ দিচ্ছে”
বগুড়া আবহাওয়া কার্যালয়ের সহকারী অফিসার সজিব হোসেন বলেন, “শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।”